338591

মসজিদের ধ্বং’সয’জ্ঞের মাঝেও অ’ক্ষত পবিত্র কোরআন

গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বি’স্ফোর’ণে দ’গ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৩৭ জনের মধ্যে শিশু ও মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। দ’গ্ধ বাকি ২১ জনের অবস্থাও আশ’ঙ্কা’জনক। ঘটনাস্থলে এখনো পড়ে আছে আছে জায়নামাজ, টুপি, তছবি আর চশমা। তবে অ’ক্ষ’ত রয়েছে মসজিদের পবিত্র কোরআন শরীফগুলো। শুধু নেই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মানুষগুলো।

নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদের কোণায় কোণায় এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আগুনের তাণ্ডবের চিহ্ন। কতটা ভ’য়ঙ্কর বি’স্ফোর’ণের সম্মুখীন হয়েছিলেন নামাজে থাকা মুসল্লিরা, বলে দিচ্ছে পুড়ে যাওয়া জায়নামাজ, ভা’ঙ্গা কাঁচ, মসজিদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আসবাবপত্র। তবে ধ্বং’সয’জ্ঞের মাঝেও অক্ষ’ত রয়ে গেছে পবিত্র কোরআন।

এলাকার লোকজনের দাবি গ্যাস লাইনে ত্রু’টির কথা জানানো হয়েছিলো কর্তৃপক্ষকে। তারা ঠিক করতে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে কোনো অভি’যোগ না পাওয়ার দাবি করেছেন তিতাসের এমডি। তিতাস গ্যাস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল-মামুন জানান, সময় সংবাদের সরাসরি সম্প্র’চার দেখেই মূলত মসজিদের ভেতর গ্যাস থাকতে পারে এমন ধারণা করছি আমরা। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি, ত’দন্ত হচ্ছে গ্যাস লাইনের লিকেজ ছিল কিনা।

তিনি আরো বলেন, তবে মসজিদ কমিটি থেকে লিকেজ সংস্কারের কোনো অভি’যোগ পায়নি তিতাস কর্তৃপক্ষ। তদ’ন্তে কারো অব’হেলা গাফি’লতি পেলে ক’ঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। অনু’সন্ধানে আসেন ফায়ার সার্ভিসের ত’দন্ত কমিটি। আশা করেন দ্রুতই ঘটনার কারণ জানাতে পারবেন তারা।

ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক বলেন, ‘এই বি’স্ফো’রণ এসি থেকে নয়। তখন বিদ্যৎই ছিল না। সুতরাং বিদ্যৎ না থাকলে বি’স্ফো’রণ সম্ভব ছিল না এসি থেকে। আমরা দ্রুত কারণ বের করার চেষ্টা করছি।’ এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃ’তদেহ আসার খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে পশ্চিম তল্লা এলাকায়। একের পর এক খাটিয়া নিয়ে আসা হয় তল্লা মাঠে। কালো পতাকা টাঙ্গানো হয় এলাকাজুড়ে।

ad

পাঠকের মতামত