338377

ইউএনও ওয়াহিদার জ্ঞান ফিরেছে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অ’স্ত্রোপ’চারের পর রাতেই জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা স্থিতিশীল।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম শুক্রবার জানান, ইউএনও ওয়াহিদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর্যায়ে এখনও আসেনি। তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।

তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার অ’স্ত্রোপ’চার শেষ করার পর রাতেই আ’ইসিইউতে আনা হয়েছে এবং রাতেই তার জ্ঞান ফিরেছে। শনিবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ওয়াহিদা খানমের আড়াই ঘণ্টার জ’টিল অ’স্ত্রোপ’চার হয়। এই অ’স্ত্রোপ’চারে অংশ নেন ছয়জন চিকিৎসক। সঙ্গে ছিলেন একজন অবেদনবিদ।

গত বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভে’ঙে দু’র্বৃত্ত’রা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দু’র্বৃত্ত’রা তাকে সরাসরি ধা’রাল অ’স্ত্র দিয়ে মা’থায় আ’ঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দু’র্বৃত্ত’রা তাকেও আ’ঘাত করে পালিয়ে যায়।

রাতেই র’ক্তা’ক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। এদিকে হা’মলার স’ঙ্গে জ’ড়িত স’ন্দেহে শুক্রবার ভোরে দুজনকে আ’টক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আ’টককৃ’তরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। অন্যজন একই উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪০)। জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। আর আসাদুল যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

ad

পাঠকের মতামত