338317

শিশুর পিতৃপরিচয় জানতে নানা-নাতির পর প্রেমিকের ডি’এ’ন’এ টেস্ট

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় একাধিক ব্যক্তির ধ”র্ষ’ণের শি’কার হয়ে স্কুলছাত্রীর জন্ম দেওয়া সন্তানের পিতৃপ’রিচয় মিলছে না। পিতার পরিচয় সনা’ক্ত করতে তৃতীয় দফায় ডিএ’নএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আদালতের আদেশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই স্কুলছাত্রী ও তার সন্তান এবং ধ”র্ষ’ককে ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে ডিএ’নএ পরীক্ষা করা’নো হয়।

এর আগে নানা-নাতির বি’রু”দ্ধে ধ”র্ষ’ণের অভি’যোগ ওঠার পর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ডিএনও প্র’তিবেদনে দেখা যায়, ওই নানা-নাতির ডিএনএর সঙ্গে স্কুলছাত্রীর জন্ম নেওয়া সন্তানের ডিএ’নএ মিলছে না। ফলে ওই স্কুলছাত্রীর দেওয়া তথ্য মতে একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাকিব হোসেনকে গ্রে’প্তা’র করে পুলিশ। তৃতীয় দফায় রাকিব হোসেনসহ স্কুলছাত্রী ও তার সন্তানের ডিএনএ পরী’ক্ষা করানো হয়েছে।

মাম’লা সূত্রে জানা যায়, ধ”র্ষ’ণে জন্ম নেওয়া সন্তানের মা স্কুলছাত্রী উপজেলার ছোট চিকাশি-মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে প্রেমিক বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধ”’র্ষ’ণের সময় ধ’রে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভ’য় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধ”র্ষ’ণ করেন। ধ”র্ষ’ণে মেয়েটি অন্তঃস’ত্ত্বা হলে তার বাবা বা’দী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মা’মলা দা’য়ের করেন।

ওই মাম’লায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও তার নাতি বকুল হোসেনকে আসা’মি করা হয়। এ অবস্থায় ধ”র্ষ’ণের শিকার স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় শনা’ক্ত করতে নানা রশিদ ও বকুলের ডিএ’নএ পরীক্ষা করানো হয়। কিন্ত এতে পরিচয় মেলেনি। পরিবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে স্কুলছাত্রী পুনরায় রাকিব হোসেনের না’ম প্রকাশ করেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে ধ”র্ষ’ণে জন্ম নেওয়া শিশুটির পিতৃপরিচয়। এ জন্য আর কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে, ওই মাম’লায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও তার না’তি বকুল হোসেনের ডি’এনএ টেস্ট করে কোনও ফল পাওয়া যায়নি।

ad

পাঠকের মতামত