338359

প্রদীপের নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীও

‘প্রদীপ’ আলো দিলেও নিচে থাকে অন্ধকার। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশও ঠিক তেমন। যার অ’ত্যাচা’রে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। প্রদীপের বিরুদ্ধে কথা বললেই ফাঁ’সানো হতো মা’দক কিংবা বিভিন্ন মাম’লায়। আবার কাউকে ক্র’সফায়া’রের ভয় দেখিয়ে আদায় করতেন মোটা অংকের টাকা।
প্রদীপ কুমার দাশের এসব অ’ত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীও। বাবার ওপর নি’র্যাতনের প্রতিবাদ করেছিল মেয়েটি। তাই কিশোরীকে থানায় তুলে নিয়ে করা হয় যৌ’ন হয়রানি। এখানেই ক্ষান্ত হননি ওসি প্রদীপ। তার দেয়া মা’মলায় এক বছর ধরে কারাবন্দি বাবা-মেয়ে। নি’র্যাতনের শিকার কিশোরী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হলেও পুলিশের কাগজপত্রে দেখানো হয় ১৯ বছর।

জানা গেছে, বাবার ওপর নি’র্যাতন করে পুলিশ। আর সেই নির্যা’তনের প্রতিবাদ করে মেয়ে। এতে ক্ষি’প্ত হয়ে তাকে থানায় তুলে নিয়ে নি’র্যাতন করা হয়। পরে মেয়েকে ছাড়াতে পাঁচ লাখ আর বাবার জন্য ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ১৫ লাখ টাকা দেয়ার পর কিশোরীর মাকেও গ্রে’ফতার করা হয়। এছাড়া পুরো পরিবারের নামে ১০টি মা’মলা দেয়া হয়। বাবাকে গ্রেফতারের পর থেকে আদালতে পাঠানোর মাঝখানের ১৮ দিনের কোনো রেকর্ড নেই।

এতদিনেও পুলিশের চার্জশিট না দেয়া আর কিশোরীর বয়স অনুযায়ীই জামিন পাওয়া উচিত বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। মানবাধিকার কর্মী সালমা আলী বলেন, ১২০ দিনের ভেতরে যখন চার্জশিট হচ্ছে না, তখন আদালত চাইলে জামিন দিতে পারেন।

কক্সবাজার আদালতের পিপি ফরিদুর আলম বলেন, এসব মামলাগুলো নজরে আনা হবে। যেভাবে ন্যায়বিচার দেয়া যায় তা দেখছি আমরা।

ad

পাঠকের মতামত