338067

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ। অল্প পুঁজিতে ও অল্প স্থানে অল্প পরিশ্রম করেই অধিক লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে বেকার যুবকদের।  বাড়ির উঠানে কিংবা বসত ঘরে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। ফলে পুকুরে মাছ চাষের চেয়ে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে যুবকরা। ফলে উপজেলার শিবপুর, শম্ভুপুর ও কৃষ্ণনগরসহ শহরে বিভিন্ন গ্রামে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ বেড়েই চলছে।

জানাগেছে, ভৈরবের শম্ভুপুর গ্রামের রায়হান ইউটিউব থেকে উৎসাহিত হয়ে প্রথমে ছোট একটি প্লাস্টিকের ট্যাঙ্কে তেলাপিয়া চাষ করে সফলতা পায়। পরে সে তার বাড়ির উঠানে দেড় লাখ টাকায় ৭ হাজার লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৪টি ট্যাঙ্ক তৈরি করে। পরে এসব ট্যাঙ্কে তেলাপিয়া, শিং ,মাগুর, গুলশা ও পাবদা মাছ চাষ শুরু করে। আট মাসে খরচ বাদ দিয়ে রায়হানের তিন লাখ টাকা আয় হয়। তার এই সাফল্য দেখে আগ্রহী হয়ে উঠে অনেকে। ফলে রায়হানের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহায়তায় নিয়ে অন্তত অর্ধশত যুবক এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছে।

বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে অধিক খাবার দিতে হয় না। প্রাথমিকভাবে মাছকে যে খাবার দেয়া হয়, তার ২৫ ভাগ মাছ গ্রহণ করে। আর ৭৫ ভাগ বর্জ্যে পরিণত হয়ে ভেক্টরিয়ার মাধ্যমে ফ্লগে পরিণত হয়। পরে সেগুলো আবার মাছের খাবার হিসেবে তৈরি হয়। যার ফলে পুকুরের চেয়ে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে খরচ অনেক কম।

স্থানীয়রা জানান, রায়হানের হাত ধরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ বেড়েই চলেছে। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ।

ভৈরব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমান জানান, ভৈরবে সাধারণত ভূমির পরিমাণ খুব কম। তাই, প্রযুক্তিগত ভাবে মাছ চাষ করলে যেমন এলাকার মাছের চাহিদা মিটাবে। তেমনি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বা স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবেন।

তিনি আরো বলেন, এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে অধিক স্থানের প্রয়োজন হয় না অল্প পুঁজি ও অল্প স্থান এবং অল্প পরিশ্রম করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তাই, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে যারা এগিয়ে আসবে তাদেরকে মৎস্য অফিস সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে।

ad

পাঠকের মতামত