331288

করোনার ভুয়া রিপোর্টের কথা জানতেন স্বাস্থ্য ডিজি! (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক।। নমুনা ফেলে দিয়ে হাজারো মনগড়া কোভিড-১৯ রিপোর্ট দেয়ার পর জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখন বলছেন, প্র’তারণার বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। খবর : সময়নিউজ।

তিনি চেয়ারম্যান নন দাবি করলেও পুলিশ বলছে, তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গ্রে’ফতার হওয়া তার স্বামী আরিফুল। শিগগিরই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তারা।

করোনা পরীক্ষার মনগড়া রিপোর্ট দেয়া নিয়ে এখন আলোচনায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। অ’পকর্মের অ’ভিযোগে প্রতিষ্ঠানের সিইও, তার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জন কা’রাগারে। কিন্তু প্রায় ২০ দিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ডা. সাবরিনা।

অবশেষে সময় সংবাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লেন তিনি। নিজেকে নি’র্দোষ দাবি করে সাবরিনা বলেন, তিনি নাকি জেকেজির চেয়ারম্যানই নন।

সাবরিনা আরিফ বলেন, জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং এটা ওভাল কোম্পানির একটি অঙ্গসংগঠন। ওভাল গ্রুপ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যেখানকার মালিক হচ্ছেন আরিফুর রহমান।

প্রায় ৩ মাস ধরে নমুনা সংগ্রহের নামে যে প্র’তারণা করেছে জেকেজি, সে কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন সাবরিনাও। সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিজেকে চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। তবে এখন কেন পদ-পদবীর কথা অস্বীকার করছেন?

সাবরিনা এ বিষয়ে বলেন, আমি ওনাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছি, দিতাম এটা পুরোপুরি মি’থ্যে কথা। এখন অ’ভিযোগ প্রমাণ হোক।

পুলিশ বলছে, জেকেজির প্র’তারণা থেকে সাবরিনার কোনোভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ তার স্বামী আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাবরিনার সক্রিয় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

এসপি হারুন বলেন, সাবরিনার কথাও এসেছে। আমরা যখন এমডিকে জিজ্ঞাসা করেছি তখন সে বলেছে, চেয়ারম্যান আমার স্ত্রী। তবে তাকে এখনো কেন গ্রে’ফতার করা হচ্ছে না?

এসপি হারুন বলেন, তার নামে এখনও সরাসরি কেউ অ’ভিযোগ করেনি। আমরা ত’দন্তের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি। প্রমাণ পেলে তার বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে সাবরিনা বলেন, জেকেজির প্র’তারণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকেও জানিয়েছিলেন তিনি।

সাবরিনা বলেন, আমি ডিজি ও এডিজিকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম। এ বিষয়ে মহাপরিচালককে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ad

পাঠকের মতামত