331247

ডা. সাবরিনা শাহেদকাণ্ডে ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিউজ ডেস্ক।। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ কে’লেঙ্কারিতে অ’ভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। শাহেদের বি’রুদ্ধে হওয়া মা’মলায় তার নাম নেই। তবে তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে গ্রে’ফতার করার আশ্বাস প্রশাসনের।

আ’ইনশৃঙ্খ’লা বাহিনী বলছে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত থেকেই জেকেজি’র চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ডা. সাবরিনা। কিভাবে, কার মাধ্যমে তিনি এ কাজ হাতিয়েছেন, সে ব্যাপারে চলছে অনুসন্ধান। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সাবরিনাকে গ্রে’ফতার করা হবে।

এদিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান পদে থাকার বিষয়ে এখনো তার বি’রুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর।

উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি ভু’য়া রিপোর্ট সরবরাহ করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে শাহেদ ও তার প্রতিষ্ঠানের বি’রুদ্ধে নানা অ’ভিযোগ পাওয়া যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জুন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অ’ভিযান চালিয়ে প্র’তারক আরিফসহ ছয়জনকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। তাদের ২ দিনের রি’মান্ডে নেয়া হয়।

সাবরিনার বিষয়ে ওই থানার পরিদর্শক আবুল হাসনাত খোন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, মা’মলাগুলোর তদন্ত চলছে। আমি নিজেও একটি মাম’লার তদ’ন্ত কর্মকর্তা। তদন্তে ডা. সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে মা’মলায় আ’সামি দেখানো হবে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, সাবরিনার বিষয়টি হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে ত’দন্ত করতে বলা হয়েছে।

বহুরূপী শাহেদ তার সাম্রাজ্য শাসনে সুন্দরী নারীদেরও ব্যবহার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে গো’য়েন্দা সংস্থা।

শাহেদের রক্ষিতা হিসেবে কাজ করে এমন পাঁচজন সুন্দরী নারীর তথ্য পেয়েছে গো’য়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে তিনটি নাম ঘুরে ফিরে উঠে আসছে। তারা হলেন- তরুণী লিজা, সাদিয়া ও হিরা মণি।

শনিবার (১১ জুলাই) দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র গো’য়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতা’রণায় শাহেদ করিম সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করত। শাহেদ তরুণীদের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে কাজ বাগিয়ে নিত। অনেক সময় সরবরাহকারীদের দিয়ে কাজ করিয়ে বিল দিতেন না।

লিজা, সাদিয়া ও হিরা মণির মতো অন্তত চার-পাঁচ তরুণী শাহেদের হয়ে কাজ করত। এমন অ’ভিযোগে’র বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ভু’ক্তভোগী’দের কাছ থেকে এ ধরনের অ’ভিযোগ আমরাও পেয়েছি।

ad

পাঠকের মতামত