330728

প্রতিবেশীর শিশুকন্যাকে প্রতিশোধ নিতেই গ’লাকে’টে হ’ত্যা

নিউজ ডেস্ক।। রাজধানীর আদাবরে চার মাস বয়সী শিশু সাদিয়াকে ঘু’মন্ত অবস্থায় গ’লাকে’টে হ’ত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ পারভিন (২৪) নামের একজনকে গ্রে’ফতার করেছে। তিনি হ’ত্যায় জ’ড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আ’দালতে ১৬৪ ধারায় আ’দালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।

বুধবার ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান।

অ’পরা’ধী শ’নাক্ত ও গ্রে’ফতার সম্পর্কে ডিসি হারুন বলেন, পুলিশ পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, প্রযুক্তি সহায়তা ও গো’প’ন সূত্রের ভিত্তিতে ৫ জুলাই ভিকটিমের প্রতিবেশী পারভিনকে গ্রে’ফতার করে। গ্রে’ফতারের পর তাকে রি’মান্ডে এনে জি’জ্ঞাসা’বাদ করলে তিনি হ’ত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।

পূর্ব শ’ক্রতার জেরে পারভিন ব্লেড দিয়ে শিশু সাদিয়াকে গ’লা কে’টে হ’ত্যা করে। পারভিনের দেখানো মতে তার ঘর থেকে হ’ত্যায় ব্যবহৃত ব্লেডটি উদ্ধার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পারভীন হ’ত্যার দায় স্বীকার করে আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

হ’ত্যার কারণ তিনি বলেন, গ্রে’ফতারকৃত পারভিন একজন গৃহিনী। তিনি পাঁচ মাস আগে ঢাকায় আসেন। তার স্বামী একজন রিকশা চালক। ভিকটিম সাদিয়ার পিতা একজন দিনমজুর ও দাদা বস্তির ম্যানেজার। লকডাউন চলাকালে পারভিনের স্বামীকে বাসার সামনে ভিকটিমের দাদা কর্তৃক দোকান করতে না দেওয়া, পারভিনের সন্তানদের সঙ্গে সাদিয়ার মায়ের খারাপ ব্যবহার ও গালিগালাজসহ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ হতে শ’ত্রুতা তৈরি হয়। আর এই শ’ক্রুতার জে’র ধরে সাদিয়ার মাকে একটি উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করে পারভিন। ঘটনার দিন ভিকটিমের মা ভিকটিমকে ঘুম পাড়িয়ে রান্না করতে গেলে পারভিন ঘরে ঢুকে ব্লেড দিয়ে সাদিয়াকে ‘কে’টে হ’ত্যা করে। তিনি একাই এই নি’র্মম হ’ত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

ডিসি আরও বলেন, গত ৩ জুলাই অনুমান ১২ টর দিকে আদাবর থানার উত্তর আদাবর ৩৮/১০ পানির পাম্প এলাকায় চার মাস বয়সী একটি শিশুকে গ’লাকে’টে হ’ত্যার সংবাদ পায় পুলিশ। দ্রুত সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও শিশু সাদিয়ার র’ক্তা’ক্ত ম’রদেহ উদ্ধার করে। চারমাস বয়সী শিশুর ওপর এম নি’মর্ম’তা মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। পুলিশ সর্বোচ্চ গু’রুত্বের সঙ্গে ঘটনা ত’দন্ত শুরু করে। এ সং’ক্রান্তে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হ’ত্যা মা’মলা করেন। উৎস: ইত্তেফাক

ad

পাঠকের মতামত