330716

পুলিশ সদস্য প্রেম অস্বীকার করায় কিশোরীর কাণ্ড

নিউজ ডেস্ক।। পুলিশের এক কনস্টেবল প্রেম অস্বীকার করায় বিষ খেয়ে আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করেছে এক কিশোরী। বুধবার দুপুরে মু’মূর্ষু অবস্থায় শশী পাল (১৬) নামের ওই কিশোরীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শশী জানায়, সে সিরাজদিখান উপজেলার শেখর নগর গ্রামের উত্তম পালের মেয়ে এবং শেখর নগর রায় বাহাদুর ইনিস্টিটিশনের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। শেখর নগর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল জুলহাস তাকে প্রেম নিবেদন করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে। জুলহাস তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করে। গত দেড় বছর ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলে আসছিল।

কনস্টেবল জুলহাস হঠাৎ বদলি হয়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইনে চলে যায় এবং শশীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। শশী শেখর নগর পুলিশ ফাঁড়িতে বিচার নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত এএসআই আ. হামিদ তাকে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানাতে বলে। সে মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। আজ বুধবার দুপুরে সে শেখরনগর থেকে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের সামনে এসে ইঁদুর মা’রার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করে।

এসময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। শশী আরো জানায়, কনস্টেবল জুলহাসের বাড়ি সাভারের ধামরাইয়ে। সে বর্তমানে ছুটিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কনস্টেবল জুলহাস জানান, তাকে শশী ফোনে বি’রক্ত করত। শশীর সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। শেখরনগর ফাঁড়ি পুলিশের এক কর্মকর্তার বুদ্ধিতে সে এমন করছে। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল জানান, মেয়েটি গতকাল (মঙ্গলবার) আমার কাছে এসেছিল। সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আমাদের শিশু ও নারী বান্ধব কর্মকর্তা এসএসআই মুক্তার সামনে তার অ’ভিযোগ শুনি। কিন্তু সে তার বাবা-মার নাম জানাতে পারেনি। খালার কাছে থাকলেও খালা শিক্ষকতা করে জানালেও কোথায় শিক্ষকতা করে তা জানাতে পারেনি। তার কথা আমরা প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে ধৈর্য সহকারে শুনেছি। যেহেতু সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অসংলগ্ন কথা বার্তা বলছিল। তাই বুধবার তার অভিভাবকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ পেলে ত’দন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাকে প্রত্যাখ্যানের অ’ভিযোগটি সঠিক নয়।

এছাড়া তার আত্মহ’ত্যার চেষ্টার কথা শুনে আমাদের শ্রীনগর থানা পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে দ্রুত তার ওয়াসের ব্যবস্থা করে। তার কাছে পুলিশ বাবা-মার নম্বর চাইলেও সে দিতে পারেনি। পরে বিকল্পভাবে তার বাবা-মার সন্ধান করে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তারা জানায় তাদের মেয়ে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।

তবে মেয়েটির মা জানিয়েছে, তার মেয়ের কোনো মান’সিক সমস্যা না থাকলেও গত ১০-১৫ দিন সে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ ছিল। এ নিয়ে তাকে ডাক্তারও দেখানো হয়েছে। আজ আত্মাহ’ত্যার চেষ্টার পর তার মানসিক অপ্রকৃতিস্থতা সম্পর্কে বুঝতে পারি।

ad

পাঠকের মতামত