330724

টিকা না বের হলে আগামী ৮ মাসে করোনা আরও উদ্বে’গজনক পরিস্থিতি দেখা দেবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আমেরিকায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের টিকা না বের হলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিনলাখ মানুষ আক্রা’ন্ত হতে পারে। দেশে বর্তমান প’রিস্থিতি না বদলালে আক্রা’ন্ত দেশগুলোকে ছাড়িয়ে শীর্ষ স্থানে পৌঁছতে যাবে ভারত। প’রিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। করোনা নিয়ে ভারতকে এই উদ্বে’গজনক খবর দিয়েছে মার্কিন ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)।

৮৪টি দেশে বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে উ’দ্বেগজনক এ পূর্বাভাস দিয়েছে এমআইটি-র স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট। গবেষকদের দাবি, আগামী ৮ মাসে করোনা সং’ক্রমণে আরও উদ্বে’গজনক প’রিস্থিতি দেখা দেবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আমেরিকায়।

তারা বলছে, কোনো কার্যকরী টিকা না বের হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে করোনায় আক্রা’ন্ত হবেন প্রতিদিন ২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। আর আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সারা বিশ্বে করোনা আক্রা’ন্তের সংখ্যা পৌঁছবে ২০ থেকে ৬০ কোটির মধ্যে।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, যদিও কলকাতার চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমআইটির এই সমীক্ষাকে ততটা গুরুত্ব দিতে রাজি হচ্ছেন না। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস বলছেন, ‘আমি এমআইটির অঙ্ক কষে একটা সংখ্যা বলে দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আমাদের দেশের সরকার প্রয়োজন হলে কিছু ব্যবস্থা নেবেন এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।

তিনি বলেন, এমআইটির হিসাব মিলবে না বলেই আমার বিশ্বাস।আগামী দিনে দেশে কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক বাড়বে। প্রয়োজনে আরও অনেক কোভিড হাসপাতাল হবে। এই সমীক্ষায় মানুষ অযথা আতঙ্কি’ত হয়ে পড়বেন।

খবরে বলা হচ্ছে, এমআইটির স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের গবেষকরা এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে দু’টি বিশেষ মডেল ব্যবহার করেছেন। একটি, ‘এসইআইআর (সাসেপ্টেবল, এক্সপোজড, ইনফেকশাস, রিকভার্ড)’। অন্য মডেলটি পুরোপুরি গাণিতিক। কোনো সং’ক্রামক ব্যা’ধির সং’ক্রমণ কতটা হতে পারে, তার আঁচ পেতে যে মডেলটি আকছারই ব্যবহার করে থাকেন এপিডিমিয়োলজিস্টরা। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও আনন্দবাজার পত্রিকা

ad

পাঠকের মতামত