330692

‘সোনা বাবু’র দাম ১৫ লাখ

নিউজ ডেস্ক।। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুল ইসলামের স্ত্রী জয়নব বেগম তার ষাড়ের নাম রেখেছেন ‘সোনা বাবু’।

কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তুত করা এই ষাড়ের ওজন প্রায় ৩৫ মণ। সাড়ে ৯ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা। বিক্রির জন্য সোনা বাবুর দাম চাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।

সাড়ে ৩ বছর আগে জয়নব বেগমের খামারেই জন্ম হয় কালো ও সাদা রঙের ফিজিএম প্রজাতির এই ষাড়টির। এরপর থেকে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছেন। শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় গৃহবধূ জয়নব বেগম শখ করে ষাড়টির নাম রেখেছে ‘সোনা বাবু’। জয়নবের স্বামী কামরুল ইসলাম সিঙ্গাপুরে চলে যাবার পর থেকে সোনা বাবুকে লালন-পালন শুরু করেন তিনি। এ কাজে সহযোগিতা করেন তার শ্বশুড়-শাশুরী। এবার কোরবানির ঈদে এই সোনা বাবুকে বিক্রি করা হবে।

জয়নব বেগম দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘শখ করে ষাড়টির নাম রেখেছি “সোনা বাবু”। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শক্রমে ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাড়টিকে বড় করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ষাড়টি কিনতে বাড়িতে লোকজন আসছেন। তারা দাম ৮-৯ লাখ টাকা বলেছেন। কিন্তু আমার চাহিদা ১৫ লাখ টাকা।’

দেলদুয়ার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনায়েত করিম জানান, ষাড়টির লালন-পালনের জন্য গৃহবধূ জয়নব বেগমকে নিয়মিত পরামর্শ নেন। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাড়টিকে এ পর্যন্ত তৈরি করেছেন। এটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়।

তিনি বলেন, ‘আশা করি গৃহবধূ করোনাকালীন সময়েও ষাড়টির ন্যায্য মূল্য পাবেন। তবেই তার পরিশ্রমের সার্থকতা আসবে।’

ad

পাঠকের মতামত