330279

সর্বোচ্চ সং’ক্রমণ পর্যায় শেষ বাংলাদেশে, এখন থেকে করোনাক্রা’ন্ত কমবে

নিউজ ডেস্ক।। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে স্থানীয় সং’ক্রমণের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম সপ্তাহজুড়ে আ’ক্রান্ত ও মৃ’ত্যু সমান্তরালভাবে পিকে ওঠে। ১৮তম সপ্তাহে এসে এ দুটির রেখাচিত্র নিম্নমুখী।

মাঝে এক দিন মৃ’ত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও সাপ্তাহিক হিসাবের গড়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব পড়েনি। বরং মৃ’ত্যুহারে দিনে দিনে বাংলাদেশ নিচে নেমে এসেছে।

এমনকি ৫ জুলাই ৫৫ জনের মৃ’ত্যু হলেও তাতে মোট গড় মৃ’ত্যুহার বাড়েনি, বরং আগের কয়েক দিনের মতোই ১.২৬ শতাংশ ছিল।

ওই তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৪-১৭তম সপ্তাহ পর্যন্ত শ’নাক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১ হাজার ৩৫৩, ২৪ হাজার ৩০৬, ২৫ হাজার ২০৩ ও ২২ হাজার ৪১৩। চার সপ্তাহে মোট ৯১ হাজার ৩৭৫।

যা এ পর্যন্ত মোট সং’ক্রমণের ৫২.৪২ শতাংশ। অন্যদিকে মৃ’ত্যু ছিল সপ্তাহপ্রতি যথাক্রমে ২৯৩, ২৮৬, ২৭০ ও সর্বোচ্চ ৩০২ জন। আর ১৮তম সপ্তাহে মোট শ’নাক্ত হয় ২০ হাজার ৬১১ জন।

এই সপ্তাহে এসে মৃ’ত্যু কমে আসে ২৫৯ জনে। আগের চার সপ্তাহে মোট মৃ’ত্যু এক হাজার ১৫১ জন, যা এখন পর্যন্ত মোট মৃ’ত্যুর ৫৬.০৯ শতাংশ।

এসব তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে একমত হয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অ’ণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন শীল বলেন, ‘জুনে যে পিক ছিল সেটা আমি তখন থেকেই বলে আসছিলাম।

আর এখন তো আমি মনে করছি ঢাকা পিক থেকে নেমে গেছে। অন্য কোনো জেলায় হয়তো বিচ্ছিন্নভাবে ওঠানামা করবে। পিক থেকে একবার নামলে সেটা আর ওঠে না।

অন্য দেশগুলোতে যেটা হচ্ছে সেটা বড় বড় দেশের বিচ্ছিন্ন নানা প্রদেশে আলাদাভাবে ওঠানামা করছে। যা দেখে আমরা মনে করি, ওই দেশে সং’ক্রমণ বোধ হয় আবার পিকে উঠেছে।

কিন্তু কোনো দেশের কোনো একটি শহরে দ্বিতীয়বার আগের মতো সং’ক্রমণ উঁচুর দিকে ওঠার নজির কিন্তু খুব একটা নেই।’

ড. বিজন শীল আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে জোরালো সং’ক্রমণের সম্ভাবনা এখন কমে যাবে। যদিও কোরবানির ঈদের প্রভাবে পরে কিছুটা সং’ক্রমণ বাড়লেও তার গতি দু’র্বল থাকবে।

কারণ আমাদের দেশে এখন এক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বেষ্টনী তৈরি হয়েছে, তা সংক্রমণের গতিকে শক্তিশালী হতে দেবে না। আবার দ্বিতীয়বারে কারো আ’ক্রান্ত হওয়ার কথাও ঠিক নয়।’

ad

পাঠকের মতামত