330148

রাস্তা থেকে বের হচ্ছে গ্যাস, জনমনে আ’তঙ্ক

নিউজ ডেস্ক।। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে ঝুঁ’কি নিয়ে মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে। গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন লাইন হতে দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক ভেদ করে গ্যাস বের হলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অ’ভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ দিয়ে ঢাকা থেকে মির্জাপুরের ওপর দিয়ে গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন লাইনটি উত্তরবঙ্গে নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় গত ৫ বছর আগে ফোর লেনে উন্নিতকরণ কাজ শুরু হয়। মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে মহাসড়ক ভেদ করে প্রায় ৬শ ফুট এলাকায় বের হওয়া গ্যাস এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিনিয়ত আ’তঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় ছোট বড় মিলে প্রায় অর্ধশত কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকদের ঘিরে মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়াই এলাকায় একটি কাঁচা বাজারও স্থাপন করা হয়েছে। শিল্প এলাকা হওয়ায় বাজারটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে মহাসড়ক ভেদ হয়ে বের হওয়া গ্যাস একদিকে মানবদেহের ক্ষ’তি করছে। অন্যদিকে বিপুল পরিমান গ্যাস অপচয় হচ্ছে। বের হওয়া গ্যাসে যেকোন মুহুর্তে আগুন লেগে বড় ধরণের দু’র্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মহাসড়কে চলাচলকারীরা জানিয়েছেন।

এতে ঝুঁ’কি নিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জানা গেছে। গত তিন বছর ধরে গোড়াই বাসস্ট্যান্ডের প্রায় ৬শ ফুট এলাকায় গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অ’ভিযোগ করেন।

নাহিদ কটন মিলের নারী শ্রমিক আফরোজা, সুইটি, লালভানু বলেন, মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলের সময় গ্যাসের গন্ধে নাক চেপে যেতে হয়। যে কোন সময় আগুন লাগতে পারে। এজন্য ভ’য়ও কাজ করে। রিকশাচালক করিম মিয়া ও আলম মিয়া জানান, বৃষ্টি হলে পানি ভুদ ভুদ করে। তখন বেশি ভ’য় লাগে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক জানান, মহাসড়ক ভেদ করে বের হওয়া গ্যাস এলাকাবাসীর আ’তঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোন সময় বড় ধরণের দু’র্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিতাস গ্যাস টাঙ্গাইল অফিসের ম্যানেজার প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এলাকাটি আমার অফিসের অধীনে হলেও লাইনটি গাজিপুর অফিস দেখে থাকেন বলে জানান।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ গাজিপুর অফিসের ম্যানেজার প্রকৌশলী ফিরোজ কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই প্রথম জানলাম। জরুরীভাবে আমাদের টিম পাঠানো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ad

পাঠকের মতামত