329940

অবশেষে ঢাকা দক্ষিণে ওষুধ কেনার সিন্ডিকেট ভেঙ্গেছে মেয়র তাপস

নিউজ ডেস্ক।। বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধ থাকলেও সেটি ফরমুলেশন করতে না পারায় এমন সমস্যা দূর করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পাশাপাশি বর্তমান ওষুধ আনা এবং ফরমুলেশনের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেটও ভেঙ্গেছে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

গত বছর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের পর বিদেশ থেকে সরাসরি ওষুধ আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। এরপর ভারত থেকে ম্যালাথিউন ৫% আমদানি করে ডিএসসিসি। কিন্তু আমদানিকৃত ওষুধটি সরাসরি ব্যবহার উপযোগী নয়। এর সঙ্গে ৯৫ শতাংশ ডিজেল ও ২৫ থেকে ৫০ এমএল সাইট্রোনেলা মিশ্রিত করে নগরীতে ছিটাতে হয়। এজন্য ডিজেল এবং ওষুধের ফরমুলেশন (মিশ্রণ) সঠিক হতে হয়। আর এই কাজটি করার জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোনও প্রযুক্তি নেই। এজন্য দ্বিতীয় পক্ষ দিয়ে কাজ করতে হয় করপোরেশনকে।

সাবেক ‘মেয়র সিন্ডিকেট’ টেন্ডার কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করতে না পারায় কাজ বন্ধ রাখে। একই সঙ্গে ডিএসসিসির ভান্ডার ব্যবহার উপযোগী ওষুধ শেষ হয়ে যায়। পরবর্তিতে বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পরে ওষুধের ফরমুলেশন শুরু হয় এবং বর্তমানে তা কার্যকর হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মেয়র তাপস বলেন, সেই সময় ভালো ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। এবার যেসব ওষুধ ব্যবহার করছি, তার মান অনেক ভালো। সবাই এটি বলেছে। আমরা প্রয়োগেও তার প্রমাণ পেয়েছি। এই করোনা মহামারীর মধ্যেও দুটি কারখানা পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে একটি কারখানায় কোনো অবকাঠামো নেই।

তিনি আরো বলেন, যথেষ্ট সক্ষমতা না থাকায় বাদ দিয়েছি। অন্যটির সক্ষমতা আছে বলে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমরা ওষুধ পরীক্ষা করেছি। সেই পরীক্ষায় একশ ভাগ মশা মারা গেছে। এর আগে ৮০ ভাগ মশক মারা গেলেই তা কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হতো। অতীতে সকাল ৮টায় মাত্র এক ঘণ্টা লোকদেখানো লার্ভিসাইডিং করা হতো।

ইতোপূর্বে দীর্ঘ তিনমাসেরও বেশি সময় উড়ন্ত মশা মারার ওষুধ ছিটানো এক প্রকার বন্ধ আছে। মাঝে মাঝে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ওষুধ ধারে শুধু ভিআইপি এলাকায় ছিটিয়েছে ডিএসসিসি।

ad

পাঠকের মতামত