323881

করোনায় আ’ক্রান্ত আ’সামি ধরে ওসিসহ ২৩ পুলিশ কোয়ারেন্টাইনে!

নিউজ ডেস্ক।। ডিজিটাল নি’রাপত্তা আ’ইনের মা’মলার আ’সামিকে গ্রে’ফতার করে বিপাকে পড়েছেন খুলনার ফুলতলা থানার দুই ওসিসহ ২৩ পুলিশ সদস্য। খুলনা ল্যাবে ওই আ’সামির করোনা শনাক্ত হওয়ায় পর তাকে গ্রে’ফতার ও আদালতে নেওয়ার সময় সংস্পর্শে থাকা ২৩ পুলিশকে হোম কোয়ারন্টোইনে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে গ্রে’ফতারকৃত ওই আ’সামিকে করোনা চিকিৎসায় খুলনা ডেটিকেটেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরে বিশেষ নি’রাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন-২) এ কর্মরত এএসআই মাহমুদুর রহমান ওরফে মাহমুদ গত ১৯ মে খুলনায় প’র্নোগ্রা’ফি, ডিজিটাল নি’রাপত্তা ও হ’ত্যা প্রচেষ্টা মা’মলা’য় গ্রে’ফতা’র হয়।

খুলনার ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রে’ফতা’র হওয়া ওই পুলিশ সদস্য তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর গো’প’ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বি’রু’দ্ধে প’র্নোগ্রা’ফি ও ডি’জিটাল নি’রাপত্তা আইনে মা’মলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯ মে খুলনায় এসে মা’মলার বাদী তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে মা’র’ধর করলে খবর পেয়ে মাহমুদকে গ্রে’ফতা’র করে পুলিশ। ওই দিনই তাকে আ’দালতের মাধ্যমে কা’রাগারে প্রেরণ করা হয়।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, ঢাকা থেকে আসার কারণে রুটিন মাফিক করোনা পরীক্ষার জন্য এএসআই মাহমুদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২২ মে সন্ধ্যায় খুলনা ল্যাবে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি বার্তা কারাগার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

একই সাথে গ্রে’ফতা’র ও আ’দালতে নেওয়ার সময় তার সংস্পর্শে থাকা ২৩ পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারাগারে ওই ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে ছিল তাদেরকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে খুলনা কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী আইয়ুব আলী বলেন, ১৯ মে ফুলতলা থানার মামলার আ’সামি মাহমুদকে কা’রাগারে আনা হয়েছিল। পরে ২২ মে তাকে কা’রাগার থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে নেয়া হয়েছে। ২৩ মে সকালে তাকে করোনা চিকিৎসায় খুলনা ডেটিকেটেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উৎস: বিডি-প্রতিদিন।

ad

পাঠকের মতামত