323633

সম্পত্তির লোভে মায়ের বি’রুদ্ধে ছেলেকে পাগল বানানোর অ’ভিযোগ

নিউজ ডেস্ক।। সম্পত্তির লোভে নিজের ছেলেকে পাগল বানানোর অ’ভিযোগ উঠেছে মায়ের বি’রুদ্ধে। চিকিৎসক ছেলেকে মানসিক রোগী বানিয়ে মা’দকাস’ক্ত নি’রাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ৯ বছর ধরে আ’টকে রাখা হয়।

সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে শুক্রবার এই ছেলে ডা. রাফেল মো. আনোয়ারুল কবির ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. রাফেল বলেন, পারিবারিকভাবে প্র’তারণা ও নি’র্যাত’নের শি’কার তিনি। তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন ও বোনদের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, টাকা-পয়সা ও পিতার সকল সম্পত্তি, টাকা-পয়সা আ’ত্মসা’ৎ করার জন্য তাকে পা’গল ও নে’শাগ্রস্থ সাজানো হয়েছে। এছাড়া তাকে প্রায় ৯ বছর রিহ্যাব সেন্টারে আ’টকে রাখা হয়েছিল। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মহাসচিব মো. নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ কুমার পাল, যুগ্ম মহাসচিব কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. রাফেল মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, রিহ্যাবে থাকাবস্থায় তারা বাবা ডা. একে এম সামসুদ্দিন তখন গু’রুত’র অসুস্থ। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি তার বাবা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যান। তখনও তিনি রিহ্যাবে বন্দী অবস্থায়। তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন বাবার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা আ’ত্মসা’ৎ করার জন্য মৃ’ত সামসুদ্দিনের কন্যা দাবি করেন। তার মা বাবার বোন সাজিয়ে বাবাকে জীবিত দেখিয়ে রিহ্যাবে থাকাবস্থায় সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয় তার কাছ থেকে।

ডা. রাফেল বলেন, তার মা প্রতিনিয়ত ও বিভিন্ন লোক মারফতে জীবন নাশের হু’মকি দিচ্ছেন। যেকোনো মুহূর্তে জীবনে মে’রে ফেলতে পারে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রা’ণ বাঁ’চাতে বিভিন্ন জায়গায় আ’ত্মগো’পনে থাকছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এ অবস্থায় মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন তার সঙ্গে যে অ’ন্যায় আ’চরণ করেছেন তার প্রতিবাদ করছি। আমার বাবার সম্পত্তির অধিকার ফেরত দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে ডা. লতিফা সামসুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার ছেলে মা’নসিক ভার’সাম্যহীন। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। উৎস: ইত্তেফাক।

ad

পাঠকের মতামত