323576

পিপিই সং’কটের অ’ভিযোগ তোলায় ডাক্তারকে মেরে পাঠানো হলো পাগলাগারদে

ডেস্ক রিপোর্ট।। হাসপাতালে মাস্ক-পিপিইসহ চিকিৎসকদের সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের এক চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর আবার পুলিশের হাতে মা’রধ’র এবং মা’নসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয়বার তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছেন। খবর : বিবিসি ও বণিক বার্তা

গত শনিবার থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞ অ্যানাস্থেসিস্ট ডা. সুধাকর রাওকে মা’রধ’র ও মা’নসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওগুলো বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমের দক্ষিণাঞ্চলের যেখানে ডা. রাও বসবাস ও কাজ করেন, সেখানকার একটি মহাসড়কে তাকে পুলিশের সঙ্গে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরে তাকে মা’নসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ডা. রাও খালি গায়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাড়ির ভেতরে বসে আছেন এবং তার আশেপাশে পুলিশ চিৎকার করছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কনস্টেবল তাকে লা’ঠিপে’টা করছেন এবং পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় তিনি রাস্তায় শুয়ে আছেন। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উৎসুক জনতার ভিড়ের সামনে পুলিশ অফিসাররা ওই চিকিৎসকে ধরে অটোরিকশায় তুলছেন।

পুলিশ বলছে, চিকিৎসককে লা’ঠিপে’টা করা ওই কনস্টেবলকে সাময়িক ব’রখাস্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে ‘ত’দন্ত হবে।
তবে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ওই সময়ের মধ্যে জড়ো হওয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা আমাকে জো’র করে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে। তারা আমার ফোন ও ওয়ালেট ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে মা’রধ’র করে।’

এর আগে গত ৩ এপ্রিল সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডা. রাও গণমাধ্যমে বলেছিলেন, চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত মাস্ক, পিপিইসহ সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় একটি টেলিভিশকে তিনি বলেন, ‘নতুন মাস্ক চাওয়ায় আমাদের ১৫ দিন ধরে ব্যবহার করে আসা মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

এ ঘটনায় সরকার বিষয়টি ত’দন্তের নির্দেশ দেয় এবং ডা. রাওকে সাময়িক ব’রখাস্ত করে। কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও জনসম্মুখে বলেছেন, ডা. রাও অন্য চিকিৎসকের মনোবল দুর্বল করে দিচ্ছেন। এর কয়েক দিন পর রাও একটি ভিডিওতে ক্ষ’মা চান এবং তার বরখাস্তের আদেশ বা’তিলের আহ্বান জানান। কিন্তু তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

রাওয়ের মা কাবেরি রাও বলেন, তার কোনো মা’নসিক স্বাস্থের সমস্যা নেই। তিনি একজন নামী চিকিৎসক। হাসপাতালে সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর থেকে তাকে নি’র্যাত’নের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এসব নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি খুব চাপের মধ্যে ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত