323184

নারী পুলিশকে হ’ত্যার চেষ্টা, ৪২ দিন পর কথিত প্রেমিক গ্রে’প্তার

নিউজ ডেস্ক।।  মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই (প্রশিক্ষণকালীন) অনিমা বাড়ৈকে গলা কে’টে হ’ত্যার চেষ্টা করেন তার কথিত এক প্রেমিক।

ঘটনার ৪২ দিন পর মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সাভারের যাদুরচর এলাকা থেকে কথিত প্রেমিক জাকির ওরফে বাতেনকে (২৮) গ্রে’প্তার করেছে মাদারীপুুর পুলিশ।

জাকির ওরফে বাতেন মুসলিম হয়েও হিন্দু সেজে রনবীর নামে অনিমা বাড়ৈর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক করে। বাতেন গাইবান্ধার সাঘাটা থানার শিমুলবাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান এই তথ্য দেন।

পুলিশ সুপার জানান, কথিত প্রেমিক মুসলিম এবং তার নাম জাকির হোসেন। তিনি নাম পরিবর্তন করে অনিমার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলেন। যখন অনিমা বিষয়টি জানতে পারেন তখন তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। আর এতেই ক্ষু’ব্ধ হয়ে উঠেন জাকির।

গত ৫ এপ্রিল রাতে মাদারীপুর শহরের শকুনিলেক পাড়ের দৃশ্য মোবাইল ফোনে দেখতে চেয়ে কৌশলে অনিমাকে লেক পাড়ে নিয়ে আসেন জাকির। কথা ছিল জাকির ঢাকায় থেকে মোবাইলে তা দেখবেন। কিন্তু আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকেন জাকির। অনিমা সদর মডেল থানা থেকে ডিউটি শেষে লেকপাড় আসার সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে তাকে ধরে গলায় ছু’রি দিয়ে আ’ঘাত করে এবং মৃ’ত্যু হয়েছে ভেবে পালিয়ে যায় জাকির। এসময় স্থানীয় লোকজন আ’হত অনিমাকে উ’দ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখান থেকে পুলিশ তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাতেই তার গলায় অ’পারেশন হয়। ওসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ছু’রি ও এক জোড়া স্যান্ডেল উ’দ্ধার করা হয়। পরদিন তার ছোট ভাই কপিল বাড়ৈ মাদারীপুর সদর থানায় একটি মা’মলা করেন। এরপর মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই সুমন কুমার আইচ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে আ’সামীর শ্যালক নাইমকে আ’টক করে এরপর তার তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার ৪২ দিন পর ঢাকার সাভার এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রে’ফাতার করা হয়।

গোপালগঞ্জ জেলার ভাঙ্গারহাট এলাকার অনিমা বাড়ৈ ৪ মাস আগে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় পিএসআই হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সুস্থ হয়ে তিনি কাজে যোগদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ফকিরসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। উৎস: সমকাল।

ad

পাঠকের মতামত