322120

সৌদির নারীরা গত ৬৩ বছরে যেসব অধিকার পেয়েছেন 

ডেস্ক রিপোর্ট।। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সৌদি আরবে নানান সময়ে নানান বিষয়ে আলোচনা হলেও দেশটির নারীদের নিয়ে বিশ্বের মানুষের ভাবনার কোনো কমতি নেই। মানুষ সৌদির নারীদের সম্পর্কে জানতে বরাবরই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। ১৯৫৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬৩ বছরে সৌদিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। দেশটির নারীরা এ সময়টাতে বেশ কিছু বিধি-নিষেদের থেকে মুক্তি পেয়েছেন। পেয়েছেন বেশ কিছু স্বাধীনতা। অধিকার। আজকের প্রতিবেদনে থাকছেই এমনই কিছু তথ্য। যা সৌদির নারীরা বিভিন্ন সময়ে পেয়েছেন।

মেয়েদের জন্য প্রথম স্কুল ১৯৫৫ সালে, প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ সালে : সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এখন বিপুল সংখ্যক ছাত্রীকে স্কুলে যেতে দেখা যায়৷ কিন্তু আজ থেকে ৬২ বছর আগে চিত্রটা এমন ছিল না৷ সৌদি আরবে মেয়েদের প্রথম স্কুল দার আল হানান৷ আর রিয়াদ কলেজ অফ এডুকেশন সৌদি নারীদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি চালু হয় ১৯৭০ সালে৷

নারীদের জন্য পরিচয়পত্র : একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এসে পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়৷ সৌদি আরবে নারীদের পরিচয়পত্র নিতে হলে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হতো৷ ২০০১ সালে সৌদি নারীরা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই পরিচয়পত্র নেয়ার সুযোগ পান৷

জোরপূর্বক বিয়ে নি’ষিদ্ধ : ২০০৫ সালে সৌদি আরবে নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে নি’ষিদ্ধ হয়৷

প্রথম নারী মন্ত্রী : ২০০৯ সালে বাদশাহ আব্দুল্লাহ সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় সরকারে প্রথম নারী মন্ত্রী নিয়োগ করেন৷ নূরা আল কায়েজ নারী বিষয়ক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সে বছর সরকারে যোগ দেন৷

অলিম্পিকে প্রথম নারী অ্যাথলিট : ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নেন সৌদি নারীরা৷ তাঁদের মধ্যে সারাহ আত্তার নারীদের ৮০০ মিটার দৌড়ে লন্ডন অলিম্পিকের ট্র্যাকে নেমেছিলেন হিজাব পড়ে৷ আসর শুরুর আগে নারীদের অংশগ্রহণ করতে না দিলে সৌদি আরবকে অলিম্পিক থেকে বাদ দেয়ার কথা জানিয়েছিল আইওসি৷

সাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি : ২০১৩ সালে সাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি পান সৌদির নারীরা৷ তবে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় এবং ইসলামি রীতিতে পুরো শরীর ঢেকে এবং কোনো পুরুষ আত্মীয়ের উপস্থিতিতে তা চালানোর অনুমতি দেয়া হয়৷

শুরায় প্রথম নারী : ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাদশাহ আব্দুল্লাহ সৌদি আরবের রক্ষণশীল কাউন্সিল ‘শুরা’য় প্রথমবারের মতো ৩০ জন নারীকে শপথ বাক্য পাঠ করান৷

ভোট দেয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার : ২০১৫ সালে সৌদি আরবের পৌরসভা নির্বাচনে নারীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার এবং নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পান৷ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড নির্বাচনে নারীদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করেছিল ১৮৯৩ সালে, জার্মানিতে তা চালু হয় ১৯১৯ সালে৷ ২০১৫ সালে সৌদি আরবের ঐ নির্বাচনে ২০ জন নারী নির্বাচিত হয়েছিলেন৷

সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম নারী : ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব দেশটির স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারপার্সন হিসেবে সারাহ আল সুহাইমির নাম ঘোষণা করে আরেক ইতিহাস রচনা করে৷

গাড়ি চালানোর অনুমতি : গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সৌদি আরব নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে৷ ২০১৮ সালের জুন মাসে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে৷ এর ফলে নারীদের আর কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে না এবং স্বতন্ত্র লাইসেন্স পাচ্ছেন তারা৷

ad

পাঠকের মতামত