319261

একদিনে খেয়ে ফেলে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার; এতটা ভয়ঙ্কর এই পঙ্গপাল!

ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রাণঘা’তী করোনা ভাইরাস মহামা’রীর মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধে’য়ে আসছে আরেকটি বি’পদ। যে বি’পদের আশ’ঙ্কা ইতিপূর্বেও করা হয়েছিল। ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগর অতি’ক্রম করে একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই ছুঁটে আসবে বাংলাদেশের দিকে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের বি’রু’দ্ধে ভারত যখন প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে তখন দেশটির দিকে ধে’য়ে আসছে আরেকটি ভ’য়াব’হ বি’প’দ। এ গ্রীষ্মেই ভারতের কৃষি জমিগুলোতে হামলে পড়তে পারে এই পঙ্গপাল। সরকারি সূত্র জানায়, দুই ফ্রন্টে যু’দ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। একটি হচ্ছে চলমান করোনা ভাইরাসের বি’রু’দ্ধে আর অন্যটি হচ্ছে পঙ্গপালকে প্র’তিরো’ধ করে খাদ্য নিরা’পত্তা নি’শ্চি’ত করতে।

ওই সূত্রটি জানায়, হর্ন অব আফ্রিকা থেকে একদল পঙ্গপাল গতিপথে মরু অঞ্চলের আরেকদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হা’না দিচ্ছে। এদের একটি ঝাঁক ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে হা’না দিচ্ছে। এরা ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ঢুকছে। অন্যদলটি ভারত মহাসাগর অ’তিক্র’ম করে সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে।

উভয় ঝাঁকের সম্মিলিত হা’মলায় ভারতের খাদ্য নিরা’পত্তা সং’কটে ফেলতে পারে বলে আশ’ঙ্কা করছেন দেশটির নীতি নির্ধারকরা। গত ২১ এপ্রিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পক্ষ থেকে সত’র্ক করে বলা হয়েছে, মরুর পঙ্গপাল যারা এ বসন্তে পূর্ব আফ্রিকা, ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইরানে হা’না দিয়েছে। আফ্রো-এশীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরা’পত্তার জন্যও তারা বড় হু’মকি হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশেও আ’ক্র’মণ হতে পারে পঙ্গপালের। এ আশ’ঙ্কা ইতিপূর্বে দেশের কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। যেহেতু পঙ্গপালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাতাসের উষ্ণতার গতি অনুযায়ী চলাফেরা করা এবং এক জায়গার খাবার ফুরালেই নতুন জায়গার খোঁ’জ করা, সে কারণে কৃষি অধিদফতরের আশ’ঙ্কা ওরা বাংলাদেশেও হা’না দিতে পারে।

উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছে ইংরেজি লোকাস্ট নামে পরিচিত এই পঙ্গপাল। বাংলায় এর নাম পতঙ্গ, এটি এক জাতের ঘাসফড়িঙ। স্বভাবে কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ইঞ্চি খানেক দৈর্ঘ্যের এই পতঙ্গ, খাবারের জন্য নিজ প্রজাতির বিপুল সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়। সাধারণত একেক ঝাঁকে কয়েক লাখ থেকে এক হাজার কোটি পতঙ্গ থাকতে পারে। তখন একে পঙ্গপাল বলে।

পঙ্গপাল যখন ফসলের ক্ষেতে আ’ক্র’মণ করে, তখন তা একজন কৃষকের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্নের বিষয় হয়ে ওঠে। একটি পূর্ণ বয়স্ক পঙ্গপাল প্রতিদিন তার ওজনের সমপরিমাণ খাদ্য খেতে পারে। যে অঞ্চলে তারা আ’ক্র’মণ করে, সেখানে খাদ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য অঞ্চলে যায় না। এফএও বলছে, এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল এক সঙ্গে একদিনে যে খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব। কেবল খাবারই খায় না তারা, একই সঙ্গে প্রজননের কাজটিও করে। সূত্র: দ্য হিন্দু

ad

পাঠকের মতামত