317437

করোনায় আরও ৪ বাংলাদেশির মৃ’ত্যু ব্রিটেনে

নিউজ ডেস্ক।। ক’রোনাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মৃ’ত্যু’র সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত লন্ডনে বাংলাদেশ কমিউনিটি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও চার বাংলাদেশির মৃ’ত্যু’র কথা জানা গেছে। এ পর্যন্ত মোট ৯৪ জন বাংলাদেশির মৃ’ত্যু’র খবর পাওয়া গেছে।

আব্দুল নূর : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃ’ত্যু’বরণ করেছেন পূর্ব লন্ডনের ইস্টহামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল নূর। তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিউহাম হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি জগন্নাথপুর বৃটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার, জগন্নাথপুর পৌরসভার হাবিবুর গ্রামে।

হাবিবুর রহমান : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃ’ত্যু’বরণ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বো এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তিনি গতকাল মঙ্গরবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের সময় লন্ডন হমাটন হাসপাতালে তিনি মা’রা যান। তিনি গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার, সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামে।

সুরুজ আলী : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন নিউহামের বাসিন্দা সুরুজ আলী। তিনি আজ বুধবার সকালে হর্মাটন হাসপাতালে মৃ’ত্যুব’রণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ২ মেয়ে রেখে গেছেন। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সাবাজপুর গ্রামে।

শফিকুল ইসলাম : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের কেন্টে মৃত্যুবরণ করেছেন শফিকুল ইসলাম নামের এক ইতালিয়ান বাংলাদেশি। তিনি গত রোববার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃ’ত্যুব’রণ করেন। অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইউকের সাধারণ সম্পাদক জলিল খান জানান, তিনি ৪ বছর ধরে কেন্টের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। তার দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। যুক্তরাজ্যে তার কোনো নিকট আত্মীয়-স্বজন নেই। তবে দেশে মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার জানাজা ও দাফন রেস্টুরেন্ট মালিক করছেন বলে জানা গেছে। তবে ওই রেস্টুরেন্টের মালিক তার নাম প্রকাশ করেননি।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় (বুধবার দুপুর পর্যন্ত) আরও ৭৬১ জন মৃ’ত্যুব’রণ করেছেন বলে জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড স্যোশাল কেয়ার। মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৬৮ জন।

ad

পাঠকের মতামত