317360

সন্তানেরা দেখতেও এলো না  রাস্তায় পড়ে থাকা মায়ের লা’শ!

নিউজ ডেস্ক।। গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে এক নারী অ’সু’স্থ হয়ে রাস্তায় মারা গেলেও করোনা স’ন্দে’হে তার ম’র’দে’হ ধরেনি সন্তানসহ এলাকাবাসী। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সড়কেই পড়েছিল ওই নারীর লা’শ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ৫৪নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ি সড়কে ওই নারীর নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। মা’রা যাওয়া ওই নারীর নাম আমিরুন নেছা। তিনি ওই এলাকার মৃ’ত ইয়াকুব আলী মোল্লার স্ত্রী।

মায়ের মা’রা যাওয়ার খবর পেয়ে ছেলে-মেয়ে এবং তার স্বজনরা ম’র’দে’হ নিতে এগিয়ে আসেনি। রাস্তায় লা’শ পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে এলাকার লোকজনও সরে যান। তারা লা’শে’র ধারে কাছেও আসেননি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় হাজী কছিমউদ্দিন ফাউন্ডেশনের ৩০ জন সদস্য। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত দেড়টার দিকে ম’র’দে’হ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে হাজী কছিমউদ্দিন ফাউন্ডেশনের কর্মীরা মৃ’ত নারীর মরদেহ দা’ফ’নের আয়োজন করেন।

স্থানীয়রা জানান, মৃ’ত নারী আমিরুন নেছা টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। ছেলে-মেয়েরা কেউই এখানে থাকেন না। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থাকা একটি ওষুধের দোকানে রক্তচাপ মাপতে গিয়ে হঠাৎ অ’সু’স্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে মা’রা যান তিনি। তার মৃ’ত্যু’র খবর পেলেও শরীরে ক’রোনাভা’ইরাস রয়েছে এমন সন্দেহে লা’শ গ্রহণ করতে আসেননি ছেলে-মেয়ে ও স্বজনরা।

পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বিধি মেনে নমুনা সংগ্রহ করেন। বুধবার সকালে ওই নারীর দা’ফ’ন করা হয়।

হাজী কছিমউদ্দিন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম এম হেলাল উদ্দিন জানান, অসুস্থ হয়ে একজন নারী রাস্তায় পড়ে আছে শুনে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মৃ’ত নারীর ছেলে-মেয়ে ও স্বজনরা খবর পেয়েও লাশ গ্রহণ করতে আসেনি। পরে আইইডিসিআর’র সদস্যরা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেলে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা লাশ দা’ফ’ন করেন।

টঙ্গী পশ্চিম থানা পু’লিশে’র ওসি এমদাদুল হক জানান, মৃ’ত নারী বার্ধক্যজনিত কারণে মা’রা গেছেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃ’ত নারীর ছেলে-মেয়েরা খবর পেয়েও লা’শ গ্রহণ করেনি।

ad

পাঠকের মতামত