315593

৫ হাসপাতাল ঘুরে রাস্তাতেই মৃ’ত্যু হল আড়াই মাসের শিশুর

ডেস্ক রিপোর্ট।। শহরের নামকরা ৫টি হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচানো গেলো না আড়াই মাসের শিশুকে। বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিশুকে নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ পৌঁছানোর পর পরিবার জানতে পারে রাস্তাতেই ওই শিশুর মৃ’ত্যু হয়েছে। ক’রো’না ভা’ইরা’স সং’ক্রম’ণের আ’ত’ঙ্কের মাঝেই এক ম’র্মা’ন্তিক ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতা।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাস্তাতেই যেহেতু শিশুর মৃ’ত্যু হয়েছে তাই তার ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপর দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে। পরে কাগজপত্র তৈরি করতে গিয়ে চিকিৎসকরা দেখেন এই শিশু ভর্তি ছিল শিশু-মঙ্গল হাসপাতালে। সেখানেও উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিৎসকরা তার নিউমোনিয়া রোগে আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার কারণ করোনার সংক্রমণ কিনা সেটা জানার জন্য ডিএনএ নমুনা পাঠিয়েছিলেন বেলেঘাটার নাইসড এবং এসএসকেএম হাসপাতালে ল্যাবরেটরিতে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মৃত্যুর খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছতেই শুরু হয় তৎপরতা। চিকিৎসককে আলাদা করে একটি ঘরে বসে থাকার অনুরোধ করা হয়। নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আলাদা করে ফেলা হয়। মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে ঢোকার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবারকেও একটি ঘরে বসে থাকার অনুরোধ জানানো হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রিপোর্ট এসে পৌঁছয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ওই শিশু করোনা নেগেটিভ ছিলো। নিয়ম মেনে তারপর ওই দেহ পাঠানো হয় মর্গে।

শিশুটির দাদা বাটানগরের বাসিন্দা শরফুদ্দিনের অভিযোগ, বুধবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে শিশু-মঙ্গল চিকিৎসকরা এসএসকেএম স্থানান্তর করেন। শিশুটি নভেল ক’রোনা’য় আ’ক্রা’ন্ত কিনা সেটা জানার জন্য সোয়াব কালেক্ট করা হয়েছিল। এসএসকেএম থেকে জানানো হয় বেড নেই। সেখান থেকে আইসি এইচএ যেতে বলা হয়। আইসিএইচ কর্তৃপক্ষও জানান, সেখানে বেড নেই। তারা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফের এসএসকেএম ঘুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন তারা। কিন্তু হাসপাতালেই পৌঁছতেই চিকিৎসক জানান, রাস্তাতেই অক্সিজেনের অভাবে মৃ’ত্যু হয়েছে শিশুটির।

ad

পাঠকের মতামত