306861

ছাগলের দেখাদেখি কফি খেতে শেখে মানুষ!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চলতি সময়ে কফি নিয়ে যতটা হইচই ও আলোচনা হয়, আগে কখনও এমনটি শোনা যায়নি বললেই চলে। দিনের কাজ শুরুর আগে, দুপুরের খাবারের পর অথবা অলস বিকালে অভ্যাসবশতই কফি পান করার চল অনেকের ভেতরেই আছে বলে দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক কফি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ১৯৯১ সালে সারা বিশ্বে ৬০ কেজি ওজনের কফির ব্যাগ বিক্রি হয়েছিল ৯ কোটি। এ বছর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ কোটিতে। তবে এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরে বারবার আসে – বিশ্বে সর্বপ্রথম কে কফির স্বাদ নিয়েছিলো? ধারণা করা হয়, কফির স্বাদ সবার আগে পেয়েছিলো কয়েকটি ছাগল!

কফির জন্মস্থান আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়া। বলা হয়, ৯ম শতকে কালদি নামে ইথিওপিয়ার এক বাসিন্দা একদিন লক্ষ্য করেন, তার ছাগলগুলো কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে। তিনি বেশ বিচক্ষণ লোক ছিলেন। লক্ষ্য করে দেখলেন, প্রতিবার সেই ছাগলগুলো একটি বিশেষ গাছের লাল লাল চেরি জাতীয় ফল খাওয়ার পরই এমন আচরণ করছে। এরপর তিনি নিজেও ফলগুলোর একটি খেলেন এবং ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম মানুষ যিনি ক্যাফেইন নামক বস্তু মানুষের শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা অনুভব করেন।

ফলটি খেয়ে তিনি নিজেকে তাজা ও উদ্যমী অনুভব করেন এবং কয়েকটি ফল তার গ্রামের ধর্মীয় নেতাদের কাছে এনে দেন। কিন্তু তারা সেগুলো আগুনে ফেলে দিলেন। এর ফল কিন্তু আরও উল্টো হলো। আগুনে পুড়ে এর সুগন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। এরপর স্থানীয়রা পানিতে মিশিয়ে তৈরি করে ফেললো পৃথিবীর প্রথম কফির তৈরি পানীয়।

এটি একটি লোককথা, তবু ইথিওপিয়া এখনও কফির জন্য বিখ্যাত। তবে কফির যে জনপ্রিয়তা তারজন্য সবচেয়ে বেশি অবদান আরবদের বিশেষ করে মুসলিমদের। ১৩০০ সালের দিকে আরবরা তৈরি করেন রোস্টেড কফি। আর পৃথিবীর প্রথম কফির দোকান তুরস্ক, মিশর, সিরিয়া, পার্সিয়াতে দেখা যায়। ইউরোপে ১৭০০ সালের আগে কফির দেখাই পাওয়া যায়নি!

আরবরা বিশ্বে কফির পরিচয় ঘটিয়েছে আর ইথিওপিয়াতে কফির সূত্রপাত হয়েছে। এখনও ইথিওপিয়ার ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ কফির চাষ করেন।

ad

পাঠকের মতামত