300867

ক্লাবে চলমান অভিযানে ক্ষুব্ধ হুইপ সামশুল হক

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে। দেশের অভিজাত নামি-দামি বিভিন্ন ক্লাবগুলোতেও অভিযান চলছে। অভিযান শুরুর পর থেকে ক্যাসিনোসহ ক্লাবের আড়ালে ‘অবৈধ জুয়ার আসর’ মূল হোতারাও অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছে।

এদিকে শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে আবাহনী ক্লাব লিমিটেডে ‘জুয়ার আসরবিরোধী’ অভিযান চালানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তিনি ওই ক্লাবের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হুইপ বলেছেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে, মদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। কিন্তু জুয়ার নামে ক্লাবগুলোতে অভিযান মানা যায় না। অভিযানের কারণে তাদের (ক্লাবের) সম্মানহানি হয়েছে। এটা মাইন্ডে লেগেছে।

সাংসদ বলেন, কোনো ক্লাবে যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জুয়া বা ক্যাসিনো ব্যবসা চলে, তা নিশ্চিত হয়ে এবং খোঁজখবর নিয়েই অভিযান চালানো উচিত। ক্যাসিনো বা জুয়া চলে না অথচ ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাব ঘিরে রেখে অভিযান পরিচালনা করা হল। তাতে ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পাওয়ার পর গত সপ্তাহের শেষ ভাগ থেকে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব, যাতে ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনোও মেলে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামে অভিযান চললেও একটি ক্লাবে ক্যাসিনো পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। বাকিগুলোতে তাসের প্যাকেট পাওয়া যায়।

সামশুল হক বলেন, “আমাদের ক্লাবে অভিযানে তাসের প্যাকেট পাওয়া গেছে মাত্র। সেখানে তো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর ছিল না। আমার ক্লাবে ক্যাসিনো নেই, জুয়া নেই, মদ নেই। ক্লাবের মহাসচিব হিসেবে মনে করি, এতে সম্মানহানি হয়েছে।” “চট্টগ্রাম ক্লাব, সিনিয়র্স ক্লাব, অফিসার্স ক্লাবে সেখানেও তো তাস খেলা হয়। সেখানে তো অভিযান চালানো হয় না। আপনাদের সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবেও তো তাস খেলে, সেটা কি জুয়া?” ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন তিনি।

ক্রীড়া ক্লাবগুলোর আয়ের উৎস হিসেবে তাস খেলাকে দেখান সামশুল হক। তিনি বলেন, “তাস খেললে বোর্ড মানি দেয় ক্লাবকে। এসব পয়সা ক্লাবের কাজে ব্যবহার হয়। ফুটবল ফেডারেশন বা অন্য কোনো সংস্থা তো ক্লাবকে টাকা দেয় না। এইভাবে যদি অভিযান চালানো হয়, তাহলে লোকজন খেলাধুলা ছেড়ে চলে যাবে।”
সূত্রঃ সময়ের কণ্ঠস্বর

ad

পাঠকের মতামত