300781

শিক্ষার্থীদের বাবা-মা তুলে গালাগালি করলেন ভিসি নাসির

শিক্ষার্থীদের মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন। সম্প্রতি এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শ্রেণিকক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্ষমা চাইতে তাদের সহপাঠীরা উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অফিসে গেলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় তাদেরকে ‘জানোয়ার’ বলে গালি দেন উপাচার্য।

অডিও ক্লিপে উপাচার্যকে বলতে শুনা যায়, এই জানোয়ার তোর বাপ বিশ্ববিদ্যালয় চালায়? জানোয়ারের দল। লাথি দিয়া বের করে দিতে ইচ্ছে করে। তোর বাপেরে চালাইতে ক। দেখি কি চালায় তোর আব্বা। তোরা জানোয়ারের দল। কোনডারে ছাড়বো। এক্টার চেয়ে আরেকটা বেশি। তোরা চালা তাইলে বিশ্ববিদ্যালয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ডিপার্টমেন্টের সবাই গিয়েছিলাম ছয়জনের জন্য সুপারিশ করতে। কিন্তু ভিসি শুধু ওদের ছয়জনকেই না পুরো ডিপার্টমেন্টর সবাইকেই ধুয়ে দিছেন। তিনি সবাইকে ‘জানোয়ারের বাচ্চারা, ক্লাস রুম দিয়ে তোদের শ্রাদ্ধ দেব, তোদের মতো কুলাঙ্গার জন্ম দিয়ে তোদের বাপ মহা অন্যায় করছে, তোর কোন বাপরে আনবি নিয়ে আয়, তিন দিনের বাচ্চুর নেতা হইতে আইছিস’ বলে গালাগালি করেন।

শেষে তিনি (ভিসি) বলেন, বের হয়ে যা আমার চোক্ষের সামনে থেকে জানোয়ারের বাচ্চারা। শুধু তাই নয়, সবার অভিভাবককে ডেকে এনে তাদের সামনেও ভিসি একইভাবে বকাবকি করেন। পরবর্তীতে তিনজনের বহিষ্কার উঠালেও বাকি তিনজনেরটা এখনও উঠানো হয়নি।

তবে শিক্ষার্থীদের গালি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, এসব সরকার বিরোধীদের ষড়যন্ত্র, যা অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তি নাই।

উল্লেখ্য, বহিষ্কার আদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নিয়ন তাদের বিভাগের ১০৩নং ক্লাস রুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করে। এ লেখালেখিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ। অথচ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এর কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত