300622

উজিরপুরে বৃদ্ধাকে নি’র্যাতনের অভিযোগ: ফেঁ’সে যাচ্ছেন ওসি, কনস্টেবল ক্লোজড

বরিশাল প্রতিনিধি- বরিশালের উজিরপুরে অপহরণের শিকার মেয়েকে উদ্ধার করতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গিয়ে নি’র্যাতনের শিকার বৃদ্ধার অভিযোগে বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার কনষ্টবল জাহিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনস এ ক্লোজড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পালও ফেঁ’সে যাচ্ছেন বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে। ঘটনার শিকার নারী রাশিদা বেগম সোমবার রেঞ্জ ডিআইজির সাথে দেখা করে ওসি ও কনস্টেবলের বিচার চেয়েছেন।

এদিকে নারীকে নি’র্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নাইমুল হক বলেছেন, মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হতে পারে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির কাছে নালিশ দেয়ার অপরাধে গত বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের সাবেক এএসআই এর স্ত্রী রাশিদা বেগম (৬২) নামের এক নারীকে মারধর করে সিগারেটের আগুনে গাল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে উজিরপুর থানার কনস্টেবল জাহিদুল ইসলামের বি’রুদ্ধে। এমনকি থানার ওসির বি’রুদ্ধেও হয়রানী ও মারধোরের অভিযোগ তুলেন ওই নারী।

জানা গেছে, রাশিদা উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আবুল কালামের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত আগস্টে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে (১১) অপহরনের শিকার হয়। তিনি উজিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওসি শিশির মামলা রুজু না করে ১৯ আগষ্ট মেয়েকে উদ্ধার করে দেন এবং মামলা নিতে টালবাহান করেন। কিন্তু পুনরায় তার কন্যা অপহরন হলে রাশিদা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। কিন্তু ওসি অভিযোগ ছিড়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় গত সপ্তাহে রাশিদা বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে রেঞ্জ ডিআইজি উজিরপুর থানার ওসি শিশিরকে রাশিদা বেগমকে আইনি সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে রাশিদা বেগম বলেন, ডিআইজির কাছে নালিশ দেয়ায় গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ওসি তাকে থানায় ডেকে পাঠান। সন্ধ্যায় তিনি থানায় দেখা করতে গেলে থানার কনষ্টবল জাহিদুল ইসলাম তাকে চর-থাপ্পর মারেন এবং গালে সিগারেটের আগুন চেপে ধরে পুড়িয়ে দেয়।

এদিকে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানিয়েছে, তদন্তে ওসি শিশিরের বি’রুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। তাছাড়া মঙ্গলবার ঘটনার শিকার নারী রাশিদা ফের ডিআইজর সাথে দেখা করে সাক্ষি নিতে ওসির বি’রুদ্ধের বাধা দেয়ার অভিযোগ তোলায় ফে’সেঁ যাচ্ছেন ওসি শিশির পাল।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল বলেন, তিনি এসব কিছুই জানেন না ।

এ ব্যাপারে উজিরপুর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ বলেন, ইতোমধ্যে কনস্টেবল জাহিদকে লাইনে ক্লোজড করে নেয়া হয়েছে। রোববারও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তাদের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। ২/১দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করে জড়িতদের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

ad

পাঠকের মতামত