300455

গণরুমে ছারপোকার কামড় খান শিক্ষার্থীরা অথচ ডাকসু জিএসের কক্ষে এসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে নিজের কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি) লাগিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের রাত কাটে গণরুমে। ছারপোকার কামড় তাদের নিত্যসঙ্গী। এই পরিবেশে থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে ক্রীয়াশীল ছা্ত্রসংগঠনগুলোর প্রভাবশালী নেতা ও তাদের ভাবশীষ্যরা আয়েশী জীবন যাপন করেন। এদিকে গণরুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা।

তিন দশক পর ডাকসু নির্বাচনের পর ছয় মাস পার হতে চললেও প্রকট আবাসন সংকটসহ শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পূরণে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকলেও ব্যক্তিগত আরামের জন্য ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকের (জিএস) এমন আয়োজনকে ভাল চোখে দেখছেন না সমালোচকরা।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্র বলেন, “আরাম-আয়েশ করার জন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকসুর জিএস নির্বাচিত করেনি। নিজের কক্ষে এসি লাগানোর আগে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল তার। এবিষয়ে তার জবাবদিহি করা উচিত।”

এ বিষয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, যেখানে ছাত্ররা গণরুমে পচে মরছে, একরুমে ঠাসাঠাসি করে ২০ জন থাকছে, কোনো সিলিং ফ্যান নেই। সেখানে একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে জিএস রাব্বানী তার অফিস কক্ষে কোনোভাবেই এসি লাগাতে পারেন না। এটি আমি নৈতিকভাবে সমর্থন করি না।

এদিকে কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণরুমে থাকা এক শিক্ষার্থীর ছারপোকার কামড়ে পিঠে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্ষতের ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেয়ার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। তোলপাড় সৃষ্টি হয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা গণরুমের আরও নৃশংসতার কথা ও চিত্র তুলে ধরেন ফেসবুকে।

এ বিষয়ে রাব্বানির ঘনিষ্ঠ এক ছাত্রলীগ নেতা জানিয়েছেন, রাব্বানী বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ডাকসুর অর্থে এসি লাগাননি। জিএসের অফিস কক্ষে এসি লাগিয়েছেন একজনের গিফট পেয়ে। সূত্রঃ যুগান্তর

ad

পাঠকের মতামত