300395

বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধ’র্ষণ, ছাত্রলীগ সভাপতির বি’রুদ্ধে মামলা

ভোলার মনপুরা উপজেলায় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির বি’রুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহপাঠিকে ধ’র্ষণের অভিযোগ উঠেছে।কলেজ ছাত্রী বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমার দেয়ার পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধ’র্ষণের অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলা হয়েছে।এ ঘটনা প্রকাশের পর থেকে মনপুরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হাসান ওরফে রনি পলাতক।

ধ’র্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কলেজছাত্রী ও ছাত্রলীগ সভাপতির বাড়ি মনপুরা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের চরযতিন গ্রামে। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করেন। এক বছর আগে ও ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন রাকিব হাসান রনি। এতে রাজি হননি কলেজছাত্রী। পরে ২০১৮ সালের ছয় জুন কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাকিব। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলেন রাকিব। সেখানে গেলে কলেজছাত্রীকে ধ’র্ষণ করা হয়। এরই মধ্যে গত সোমবার দুপুরে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে রাকিবের বাড়িতে আসতে বলা হয়। বাড়িতে গেলে ছাত্রীকে ধ’র্ষণ করেন রাকিব। সেইসঙ্গে বিয়ে করবে না বলে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই সময় ছাত্রী বাড়ি যাবে না বললে তাকে মারধর করেন রাকিব। পরে স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী প্রথমে বিয়ের দাবি জানিয়ে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এতে প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মনপুরা থানায় ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে জানতে মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনির মোবাইলে বার বার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফোরকান আলী বলেন, মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনির বি’রুদ্ধে ধ’র্ষণের মামলা করেছে কলেজছাত্রী। মামলার তদন্ত ও রনিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ad

পাঠকের মতামত