300278

ফখরুলের কাছে চাচির জন্য মনোনয়ন চাইলেন মোজাফফরের ভাতিজা

রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে সদ্য প্রয়াত কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এবং রংপুর মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া হোসেনকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মোজাফফর হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গেলে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় মোজাফফর হোসেনের ভাতিজা রুবায়েত হোসেন মির্জা ফখরুলের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, তার চাচা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাগোদল দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। জাগো যুবদলের তিনি রংপুর অঞ্চলের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ছিলেন রংপুর জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সভাপতি। পরে তিনি বিএনপির রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, সভাপতি, মহানগর সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন।

জীবদ্দশায় তিনি কখনও তার নীতি ও আদর্শকে বিসর্জন দেননি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমনকি গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। সভা শেষে বাড়ি ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাৎক্ষণিক রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নেয়া হলে সেখানেই রাত পৌনে ৯টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির পক্ষে তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাই তার মৃত্যুতে তার স্ত্রী সুফিয়া হোসেনকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান রুবায়েত হোসেন।এ সময় মির্জা ফখরুল বিষয়টি নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে তাদের আশস্ত করেন এবং প্রয়াত মোজাফফর হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানান।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। তারপরও আমরা রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রয়াত মোজাফফর হোসেন গণতন্ত্রকামী মানুষ। তিনি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোজাফফর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রামে ছিলেন। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার অভাব দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয়।পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মিস্ত্রিপাড়া করবস্থানে গিয়ে প্রয়াত মোজাফফর হোসেনের কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল।

ad

পাঠকের মতামত