299755

স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষণ: মামা ও ধ’র্ষক খুন!

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষণে বাধা দেয়ায় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে হাসান আলী (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে অভিযুক্ত আকবর আলীও নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্কুলছাত্রীসহ দুইজন। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান আলী আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে।

গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে শনিবার ভোরে আকবর আলী নামে এক ব্যক্তি ঢোকে। এরপর স্কুল পড়ুয়া নাতনির ঘরে গিয়ে তাকে ধ’র্ষণের চেষ্টা চালায়।

পরে স্কুলছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা প্রতিরোধ করতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় ওই স্কুলছাত্রীসহ তার পঙ্গু নানা হামিদুল ইসলাম। এরপর গ্রামবাসী টের পেয়ে বাইরে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। পরে হামলাকারী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, মো. কলিমুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তারা গুরুতর আহত গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম ও তার স্কুল পড়ুয়া নাতনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সকাল ৮টার দিকে নিহত হাসান ও গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সদর হাসপাতালে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত  চিকিৎসক আবু এহসান মো. ওয়াহেদ রাজু জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের কারণে হামিদুল ইসলামের শরীরে অসংখ্য ক্ষত হয়েছে।

তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়েছে। আহত স্কুলছাত্রীকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বলেন, ধ’র্ষণচেষ্টাকারী আকবর আলী বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে সবজি বিক্রির ব্যবসা করলেও তার স্বভাব চরিত্র খারাপ ছিল।

এর আগেও সে গ্রামের এক নারীকে ধ’র্ষণের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছিল। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষণের জন্যই মূলত ওই বাড়িতে হানা দেয় আকবর আলী। স্থানীয় গ্রামবাসী এমনটিই তথ্য দিয়েছেন। আমরা প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।

ad

পাঠকের মতামত