১২ বছরের কিশোরীর ১০ বছর কেটেছে শিকলবন্দি অবস্থায়, মুক্তি মিলল অবশেষে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী আয়েশা সিদ্দিকাকে গত ১০ বছর ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। অবশেষে সরকারি উদ্যোগে ওই কিশোরীকে গত মঙ্গলবার শিকলমুক্ত করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফিরে যেতেই ওই কিশোরীকে আবারো শিকলে আটকে রাখা হয়। অবশেষে বুধবার তাকে উদ্ধার করে বহরমপুর মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, শিকল দিয়ে বেঁধে না রাখলে আয়েশা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রায় ১০ বছর আগে আয়েশার বয়স যখন আড়াই বছর, সেই সময় দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে সে। আয়েশার বাবা রবিউল শেখ এবং মা আকলিমা বিবি দুই ছেলেকে নিয়ে মুম্বাইয়ে থাকেন। নানি মর্জিনা বলেন, নাতনিকে বেঁধে রাখতে আমারও কি কম কষ্ট হয়! কিন্তু উপায় নাই।
বাবা রবিউল ফোনে বলেন, মেয়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতেই মুম্বাইয়ে পড়ে আছি। এদিকে, ঘটনার কথা জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে আয়েশার বাড়িতে যান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা আয়েশাকে শিকলমুক্ত করেন। কিন্তু তারা ফিরে যেতে আবারো আয়েশাকে বেঁধে রাখা হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা আবারো আয়েশার বাড়ি যান। পরিবারের সম্মতিতে আয়েশাকে নিয়ে যাওয়া হয় মহিলা থানায়। ঠিক করা হয়েছে, বাবা-মা ফিরে না আসা পর্যন্ত আয়েশা সেখানেই থাকবে। বহরমপুরের বিডিও অভিনন্দন ঘোষ বলেন, মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনেই সেটা করা হবে।