298814

‘স্বায়ত্তশাসন বাতিলের ফলে কাশ্মীরে নবযুগের সূচনা হয়েছে’- মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে কাশ্মির সংকট ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত-শাসিত কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিলের ফলে সেখানে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।মোদি বলেন, ৩৭০ ধারার কারণে কাশ্মির অনেক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ধারার কারণে কাশ্মিরের যেসব ক্ষতি হয়েছে সেসব কখনোই আলোচনায় আসেনি। এখন থেকে জম্মু-কাশ্মির ও লাখাদে নতুন যুগের সূচনা হলো।

ভারতের সব নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব সমান জানিয়ে মোদি আরও জানান, কাশ্মির সংকটে গত তিন দশকে ৪২ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। যা যেকারও চোখে জল এনে দেয়।মোদী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরেও আগের মতই বিধায়ক হবে, মুখ্যমন্ত্রীও হবে। আমার বিশ্বাস, এই নতুন ব্যবস্থায় আমরা সবাই মিলে সন্ত্রাসবাদ থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করতে পারব।

তিনি বলেন, যেদিন থেকে কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসন জারি হয়েছে, সেদিন থেকে কাশ্মীর সরকারের শাসনাধীন। পুলিশকে বিশেষ হেল্থ স্কিম সহ যেসব সুবিধা দেওয়া, তা কাশ্মীরের পুলিশ পরিবারগুলি পায় না। কাশ্মীরের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল, অন্যান্য রাজ্যের মত মেয়েরা সুযোগ সুবিধা পেত না। আইন তৈরির সময় সংসদে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়, আইনের গুরুত্ব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। এরপর যে আইন তৈরি হয় তা দেশের মানুষের ভালোর জন্য। কিন্তু কেউ ভাবতে পারে না যে আইন তৈরি হওয়ার পরও দেশের জন্য সেই আইনের প্রয়োগ হবে না। অথচ এতদিন যে আইন হত, তার থেকে বঞ্চিত থাকত কাশ্মীর।

তিনি বলেন, ৪২০০০ নির্দোষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীরের মানুষের কোনও লাভ হয়নি। আর্টিকল ৩৭০-এর জন্য কাশ্মীরের মানুষের কী লাভ হয়েছিল? আর্টিকল ৩৭০ ও ৩৫-এর জন্য আতঙ্কবাদ আর পরিবারবাদের রাজত্ব চলছিল কাশ্মীরে। আর কোনও লাভ হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমন গতানুগতিকতা চলে আসে যাতে মনে হয়, সব কিছু যেমন চলছে তেমনই চলবে। আর্টিকল ৩৭০-এর ক্ষেত্রেও তাই হয়ে আসছিল।

ভারতবাসীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখে এক নতুন যুগ শুরু হল। এখন দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব ও অধিকার সমান। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হত, যা তাদের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এখন এসব থেকে মুক্ত হয়েছে কাশ্মীর।

ad

পাঠকের মতামত