298435

সামাজিক মাধ্যমে বুড়ো সাজার হিড়িক!

সম্প্রতি ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনেস্টাগ্রামের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় অ্যাপ ব্যাবহারের মাধ্যমে নিজেকে ‘বুড়ো’ দেখানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বেশিরভাগ ব্যবহারকারী। নিজেদের একক বা যৌথ ছবি এ্যাপের মাধ্যমে মোডিফাই করে পোস্ট করছেন সেখানে। এটার দেখাদেখি অন্যরাও একইভাবে ছবি মোডিফাই করে পোস্ট করছেন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফলে ফেস অ্যাপের মাধ্যমে ছবি মোডিফাই করে ছড়িয়ে দেয়া নিউ ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে মাত্র দু’এক দিনের ব্যবধানে টকবগে যুবক-যুবতীরা পরিণত হচ্ছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধায়। প্রথম দেখাতেই কাছের মানুষগুলোও হয়ে উঠছেন অপরিচিত। তবে এগুলো বাস্তবে নয়, এর সবই ‘ফেসঅ্যাপ’ নামের একটি অ্যাপের কীর্তি।

ফটো এডিটিং বিভিন্ন অ্যাপের মাঝে ভীষণ জনপ্রিয় একটির নাম ফেসঅ্যাপ। ২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে এই অ্যাপটি। জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে নিয়মিত নানারকম ফিল্টার, ইফেক্ট আর মাস্ক যোগ, বিয়োগ আর আপডেট করছে ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। বলতে বাধা নেই যে, ফেসঅ্যাপ নামক অ্যাপটি বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। তা না হলে বিষয়টি এত ভাইরাল হত না।

ছবি এডিট করে চেহারা বদলে ফেলা, বয়স বাড়ানো-কমানো, ছেলে থেকে মেয়ে বা মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া, চুল বা চোখের রঙ বদলে ভিন্নরকম হয়ে যাওয়া, এমনকি চুলের স্টাইলই অন্য কিছু বানিয়ে সবাইকে চমকে দেয়া- এমন অ্যাপ এখন ভার্চুয়াল সমাজে অসংখ্য।

তবে ফেসঅ্যাপ সম্প্রতি নতুন একটি ‘ওল্ড’ ফিল্টার যোগ করেছে। অ্যাপটিতে আগেও চেহারা বুড়ো বানানোর ফিল্টার ছিল। কিন্তু সেটিকে আরো আধুনিক করে নতুনভাবে সামনে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে ফেসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জানানো হয়েছে বুড়ো হওয়ার চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ আজ থেকে ৬০ বছর পর তুমি দেখতে কেমন হবে, সেটা এখনই দেখে নাও!

কিশোর থেকে যুবক, সবাই এই ট্রেন্ডের স্রোতে গা ভাসিয়ে একটু মজা করছেন। তবে ছবিগুলো প্রথম দেখাতে কেউ বুঝতেই পারবে না, যে এটা আসল নাকি নকল! বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টুইটারের চেয়ে ফেসবুক বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে ফেসবুকের মাধ্যমেই এটি ভাইরাল হয়েছে। তবে ফেসবুকের পাশাপাশি টুইটার বা ইনেস্টাগ্রামেও এসব ছবি পোস্ট করা হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত