295323

বিমান যুদ্ধে পাকিস্তানের কাছে ‘হার কবুল’ ভারতের

প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে পাকিস্তানে বিমান হামলায় সফল হতে পারেনি ভারতের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। এক সার্ভিস রিপোর্টে আইএফের এ ব্যর্থতা উঠে আসে।স্থানীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এ খবর জানিয়েছে।ফেব্রুয়ারিতে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এক হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর ৪৯ সদস্য নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা চলে।

সার্ভিস রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসী’ আস্তানায় হামলা এবং পরবর্তীতে ইসলামাবাদের সঙ্গে বিমান যুদ্ধে আরও সফল হওয়া যেত যদি ভারতের কাছে আরও উন্নত প্রযুক্তি থাকত। এতে পাকিস্তানের আরও বেশি ক্ষতি করা যেতো।পাল্টাপাল্টি বিমান হামলায় পাকিস্তানের কাছে নতিস্বীকার নিয়ে রিপোর্টটিতে বেশ সাবধানতা লক্ষ্য করা যায়। ‘প্রযুক্তিগত অক্ষমতা’ নিয়েই এতে গুরুত্ব দেওয়া হয়।এতে একাধিকবার ঘুরেফিরে আসে, উন্নত প্রযুক্তি থাকলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারত আইএএফ। কিন্তু তা না থাকায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর সামনে দুর্বল হয়ে পড়ে তারা।

প্রযুক্তিগত দুর্বলতা সম্পর্কে এতে বলা হয়, নেভিগেশন সিস্টেমে সমস্যা থাকায় যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে ব্যর্থ হন তারা।এর আগেও আরেকটি প্রতিবেদনে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেশটির বিমান বাহিনীকে। এতে বলা হয়, শত্রুর যুদ্ধবিমানে হামলা করতে গিয়ে নিজেদের হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে ফেলেছিল আইএএফ।সর্বশেষ রিপোর্টটিতে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পর পাকিস্তান তাদের বিমান বাহিনীর ক্ষমতা ধারাবাহিক বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ফলে এফ-১৬ দিয়ে ভারতের যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।

সেদিক দিয়ে যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনায় প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে ভারত। পুরোনো প্রযুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয় তারা।ফেব্রুয়ারির ওই হামলার দায় স্বীকার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ। পাকিস্তানের সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। পাকিস্তান তা নাকচ করে দিলেও দেশটিতে যুদ্ধবিমান দিয়ে হানা দেয় ভারত।

পরদিন ভারতের আকাশসীমায় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান হানা দেয়। এসময় ‘ডগ ফাইটে’ ভারতের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এর পাইলটকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান।এর আগে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালিয়ে ৩০০ জইশ যোদ্ধাকে হত্যার ভারতের দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।পরবর্তীতে পাকিস্তান আটক পাইলটকে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিলে দুই দেশের মধ্যে মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান ঘটে।

ad

পাঠকের মতামত