291701

৮টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মসজিদে আকসা সম্পর্কে

১. মক্কার মসজিদে হারামের পরেই পবিত্র কুরআনে যে মসজিদটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হলো মসজিদে আকসা। এটিই সে স্থান, যেখান থেকে রাসূলুল্লাহ সা. মেরাজের রাতে উর্ধ্বাকাশে গমন করেছিলেন। কুরআনে কারীমের সূরা ইসরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, “পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।”

২. তিনটি পবিত্রতম মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম। রাসূলুল্লাহ সা. মসজিদে আকসায় ভ্রমণের জন্য মুসলমানদের উৎসাহিত করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “তিনটি মসজিদ ছাড়া আর কোথাও যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করো না। মসজিদ তিনটি হলো মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী এবং মসজিদে আকসা।” (সহীহ বুখারী)

৩. মসজিদে আকসা পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ। পবিত্র কাবাঘর নির্মাণের চল্লিশ বছর পর এটি নির্মিত হয়। হযরত আবু যর রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে এ সম্পর্কে জানা যায়। তিনি একবার রাসূলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পৃথিবীর বুকে প্রথম মসজিদ কোনটি। রাসূলুল্লাহ সা. উত্তরে মসজিদে হারামের কথা উল্লেখ করেন। এরপর তিনি রাসুল সা. কে জিজ্ঞেস করেছিলেন এর পরে নির্মিত মসজিদ কোনটি। রাসূল সা. উত্তরে মসজিদ আল-আকসার কথা বলেন। মসজিদ দুইটির নির্মাণের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সা. জবাবে বলেন, এদের মধ্যে ব্যবধান চল্লিশ বছরের।

৪. পবিত্র কাবার দিকে নামাজের কেবলা নির্ধারিত হওয়ার পূর্বে নামাজের জন্য মুসলমানদের কেবলা হিসেবে মসজিদে আকসা নির্ধারিত ছিলো।

৫. মিরাজের রাতে রাসূলুল্লাহ সা. সকল নবী-রাসূলকে নিয়ে আল-আকসা মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। রাসূল (সা.) এর ইমামতিতে এই নামাজ আদায় করা হয়।

৬. এই মসজিদের এক রাকাত নামাজ পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের সমান। রাসূল (সা.) এর এক হাদীসে বলা হয়েছে,

“একজন ব্যক্তির তার নিজ ঘরে আদায় করা নামাজের পুরস্কার ঐ নামাজের সমান, নিকটস্থ মসজিদে নামাজের পুরস্কার পঁচিশ গুণ, জুমা মসজিদের নামাজ পাঁচশত গুণ, আল-আকসা মসজিদে পঞ্চাশ হাজার গুণ, মসজিদ আন- নববীতে পঞ্চাশ হাজার গুণ এবং মসজিদ আল-হারামে এক লক্ষ গুণ পুরষ্কার রয়েছে।” (ইবনে মাযা্হ)

৭. ৬৩৭ ঈসায়ীতে হযরত উমর (রা.) জেরুযালেম জয় করার পর রোমানদের ধ্বংসস্তুপ থেকে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন।

৮. ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের হাত থেকে পুনরায় মসজিদটি সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মসজিদটি উদ্ধার করেন এবং ক্রুসেডারদের আবর্জনা থেকে তিনি এই মসজিদ আবাদ করেন।

ad

পাঠকের মতামত