290779

প্রিয় নবী মহানবী (সাঃ) যে কারণে হিলফুল ফুযুল সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন

ধর্ম বার্তা: আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবদের সবচেয়ে অভিজাত চুক্তিবদ্ধ সংগঠন হিলফুল ফুযুলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ বিষয়ে যারা জানেন না, তারা নিচের সংক্ষিপ্ত আলোচনাটি পড়লেই কিছুটা জ্ঞান আহরোণ করতে পারেন।

সংগঠনটির সূচনা হয় মূলত এভাবে, একবার জাবিদ নামক স্থানের এক লোক মক্কায় কিছু বাণিজ্যিক পণ্য নিয়ে আসে এবং কোরাইশদের অন্যতম সর্দার আস ইবন ওয়ায়েল এসব পণ্য খরিদ করে। কিন্তু সে সেই পণ্যের মূল্য পরিশোধ করে নি। লোকটি তখন কোরাইশ নেতৃবৃন্দের সাহায্য কামনা করে। কিন্তু আস ইবন ওয়ায়েলের সামাজিক মর্যাদা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে তারা তাকে সাহায্য করতে অস্বীকার করে। উপরন্তু গালমন্দ করে তাকে ফিরিয়ে দেয়। এরপর লোকটি মক্কার লোকদের নিকট ফরিয়াদ জানায় এবং প্রত্যেক সাহসী ও ন্যায়নিষ্ঠ যাকেই দেখেছে, তার কাছে অভিযোগ পেশ করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাদের ভেতর আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ জেগে ওঠে এবং তারা সকলে মিলে আবদুল্লাহ ইবন জাদয়ানের ঘরে জমায়েত হয়। তিনি তাদের সকলকে মেহমানদারি করেন।

এরপর তারা আল্লাহর নামে এই অঙ্গীকার করে, তারা সবাই জালিমের মুকাবিলায় ও মজলুমের সাহায্য-সমর্থনে ‘এক দেহ এক প্রাণ’ হয়ে কাজ করবে, যতক্ষণ না জালিম মজলুমের হক পরিশোধ করে। কোরাইশরা এই অঙ্গীকারের নাম দেয় ‘হালাফুল-ফুযূল’ অর্থাৎ ফুযূলের অঙ্গীকার এবং বলতে থাকে, তারা একটা অতিরিক্ত কাজে হস্তক্ষেপ করেছে, যা তাদের দায়িত্বের আওতায় পড়ে না। এরপর তারা সকলে মিলে আস ইবন ওয়ায়েলের নিকট এসে জাবিদের অধিবাসীর পণ্য দ্রব্যাদি তার থেকে জোরপূর্বক গ্রহণ করে এবং তাকে ফিরিয়ে দেয়।

রাসুল [সা.] এই অঙ্গীকারে খুবই খুশি হয়েছিলেন এবং নবুওয়াত প্রাপ্তির পরও তিনি এর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন জাদয়ানের ঘরে আমি এমন একটি অঙ্গীকারে অংষ নিয়ে ছিলাম, যেখানে সেই নামে ইসলামের পর আজও যদি আমাকে আহ্বান করা হয়, তবে আমি তাতে সাড়া দিতে তৈরি আছি। তারা এ ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছিলো, তারা হকদারকে তার হক পৌঁছে দেবে এবং এই শপথেও আবদ্ধ হয়েছিলো, কোনো জালিম মজলুমের ওপর প্রাধান্য লাভ করতে পারবে না। [নবিয়ে রহমত]
মূল- সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি [রহ.]

ad

পাঠকের মতামত