মসজিদে মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ : অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ৫ শিক্ষক
চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থিত ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদ থেকে মো. হাবিবুর রহমানের (১১) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত হাবিবুর রহমানের বাবা আনিসুর রহমান এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ৫ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শিক্ষকরা হলেন- অধ্যক্ষ আবু দারদা, শিক্ষক তারেকুর রহমান, মো. জোবায়ের, মো. আনাস আলী ও মো. আবদুস সামাদ। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছেলেকে হত্যার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেছেন হাবিবুরের বাবা আনিসুর রহমান। মামলার এজাহারে তারেক ও আবু দারদার নাম উল্লেখ করে সন্দেহভাজন আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করেছেন তিনি।’
ওসি বলেন, ‘প্রথমে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও হাফেজ তারেকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। মামলা হওয়ার পর তাদের পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তে অন্য যাদের নাম আসবে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।’
গত বুধবার রাতে নগরীর ওয়াজেদিয়া এলাকা অবস্থিত ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদ থেকে হাবিবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে হাবিবের পরিবার। হাবিবকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
হাবিব ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ত। তাদের গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়ায়। তার বাবা আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীতে অটো রিকশা চালান। তবে তাদের পরিবার থাকে শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায়। আর মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করত হাবিব।
