289070

শিশু মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই খুন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, লাশের পরিচয় লুকাতে চোখ উপড়ে ফেলা হয়

নিউজ ডেস্ক।।  রাজধানীর ডেমরায় নূরে মদিনা মাদ্রাসার ছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান, ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী মনিরকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন আটকরা। কিন্তু মুক্তিপণ পাওয়ার আগেই তারা শিশুটিকে হত্যা করেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি দড়ি, একটি মোবাইল, লাশের পরনে থাকা ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ। ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয় মনির হোসেন। এরপর ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

জানা গেছে, লাশের পরিচয় লুকাতে চোখ উপড়ে ফেলা হয়। পরিকল্পনা করা হয় লাশটি দূরে কোথাও ফেলে দেওয়ার। কিন্তু এলাকায় পুলিশের তল্লাশি বেড়ে যাওয়ায় মসজিদের সিঁড়িতেই বস্তাবন্দি শিশু মনিরের লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ হাদী। কিন্তু পালানোর আগেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন আহাম্মদ শফী ওরফে তোহা। এরপর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়। আকরাম গত বছর ওই মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ান, সেখান থেকেই হাদী ও তোহার সঙ্গে তার যোগাযোগ। এ ঘটনায় মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেছেন।

ad

পাঠকের মতামত