288116

পরীক্ষার্থীদের যানজট থেকে মুক্ত করতে রাস্তায় নামলেন ইউএনও

জেলা প্রতিনিধিঃ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়ে উখিয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও তা মানছে না এনজিও সংস্থাগুলো। তাই শেষ পর্যন্ত রাস্তায় নেমে নিজেই এনজিও সংস্থার গাড়িগুলো আটকে দেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থাগুলোর শত শত গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এনজিওর গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে সর্বমহল থেকে দাবি জানানো হয়। এই দাবি প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩১ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে এনজিও সংস্থাগুলোকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাড়ি চলাচল না করার নিদের্শ দেন। তারপরও নির্দেশ না মেনে এনজিও সংস্থাগুলো গাড়ি নিয়ে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই রাস্তায় নেমে এনজিও সংস্থার গাড়ি আটকে দেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সকাল ৯ টার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উখিয়া সদর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় অবস্থান নেন। তিনি নিজেই চলাচলকৃত এনজিও সংস্থার গাড়িগুলো আটকে দেন। একই সঙ্গে নির্দেশ না মানায় এনজিও কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনা করেন। তিনি প্রায় আধাঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে গাড়িগুলো উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে পার্কিং করান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় এনজিওর গাড়িগুলো চলাচল করে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে পড়ে পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারে না। এর ফলে ওই সময়ে গাড়ি চলাচল না করতে এনজিও সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে গাড়ি চলাচল অব্যাহত রাখে। তাই নিজেই নেমে গাড়িগুলো আটকে দিয়েছি। সামনের পরীক্ষার দিনে এমনটি করা হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ad

পাঠকের মতামত