288119

এবার অনলাইনে মোবাইল অর্ডার করে মিলল ৩ প্যাকেট হুইল সাবান

যুগ চলছে ইন্টারনেটের গতিতে। ঘরে বসেই মানুষ বিশ্বকে নিজের মুঠোয় ভরে ফেলেন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বর্তমান ইন্টারনেটে কেনা-বেচার বিষয়টি বেশ প্রচলিত। এ জন্য দেশে নানা নামে অনলাইন শপ চালু হয়েছে। তবে এ পরিষেবায় অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে খবর। এমনই অভিযোগ এসেছে দেশের বৃহৎ অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজের বিরুদ্ধে। দারাজের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন লিটন একটি অভিযোগ করেছেন।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ইন্টারনেটে দারাজ অনলাইন শপে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে স্যামসাং এস৮ প্লাস মোবাইল অর্ডার করেন তিনি। অর্ডারের দুই দিন পর ঠাকুরগাঁও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে তাকে জানানো হয় যে, তার নামে একটি প্যাকেট এসেছে। গত ৬ এপ্রিল কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে গিয়ে তিনি মোবাইল ফোনটির দাম ৩৬ হাজার ২৭১ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর দারাজ থেকে পাঠানো প্যাকেটটি কুরিয়ার সার্ভিসের লোকজনের সামনেই তিনি খুললে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।

তিনি দেখেন, ভেতরে কোনো ফোন নেই। ফোনের বদলে রয়েছে ৩টি হুইল সাবান। বিষয়টি সঙ্গেসঙ্গে লিটন কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানান। এর পর তিনি দারাজে ফোন করেন ও মোবাইলের বদলে সাবানের প্যাকেট পাওয়ার কথা বলেন। ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে বলে জানিয়েছেন দারাজের কর্তৃপক্ষ। সে সময় শিগগিরই একটি স্যামসাং এস৮ প্লাস মোবাইল লিটনের কাছে পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তারা। ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত জানিয়ে দারাজের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়েজ জানিয়েছেন, ‘ব্যাপারটা আমরা জেনেছি। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায় হয়েছে সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’

ভুক্তোভোগী গ্রাহকের কাঙ্খিত মোবাইলটি তারা আবার পাঠিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারের (৯ এপ্রিল) মধ্যে ফোনটি তার হাতে পৌঁছে যাবে।’ সম্প্রতি অনলাইন শপে পণ্য অর্ডার করে একইরকম ভুক্তোভোগী হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পিয়াস সরাকার নামের এক যুবক। তিনি ‘স্মার্ট শপ ঢাকা’ নামে একটি অনলাইন শপে একটি ঘড়ি অর্ডার করেন। এর জন্য পরিশোধ করেন এক হাজার ৮০০ টাকা। কিন্তু তার ঠিকানায় পাঠানো প্যাকেটটিতে ছিল না কোনো ঘড়ি। প্যাকেট খুলে সেখানে ঘড়ির বদলে দুটি পেঁয়াজ পান পিয়াস।

ad

পাঠকের মতামত