287687

আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি, ‘আত্মহত্যা’ কি না খুঁজে দেখছে পুলিশ

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ। তবে এই ঘটনাটি আত্মহত্যা কি না, তাও পুলিশ খুঁজে দেখছে। আজ রোববার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন ও ক্রাইম) মো. আবুল ফয়েজ। ওই ঘটনাটি তদন্তে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মো. আবুল ফয়েজ সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, নুসরাতের অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি পূর্বের ঘটনার জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা অথবা হত্যার চেষ্টা হতে পারে। এই দুটি বিষয় মাথায় রেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের কেউ বাদী হয়ে মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে।

এর আগে গতকাল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। পরে সেখান থেকে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চারজন বোরকা পরিহিত তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানানো হয়। ঢামেক হাসপাতালে নুসরাত জাহান রাফির চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় এই বোর্ড গঠন করে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। এর আগে সকালে তাকে বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

নুসরাতের সার্বিক চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

ad

পাঠকের মতামত