287694

‘ধর্ষণের পর’ শিশুর হাতে ২০ টাকা গুঁজে দেই এই ধর্ষক

সেনবাগ প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিশুকে (৯) ধর্ষণের পর তার হাতে ২০ টাকা গুঁজে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজন (২৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই ঘটনার পরই রাজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার রাজন একজন অটোরিকশাচালক। তার বাবার নাম শফিক উল্যাহ। তাদের বাড়ি উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পথে রাজন ওই শিশুকে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে তার অটোরিকশায় তুলে নেয়। পরে সেখান থেকে একটি গ্যারেজে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুর হাতে ২০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেন রাজন। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়ি পৌঁছে পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার তাকে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাত ৯টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটির স্বজনরা রাজনকে ধরে এনে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। পুলিশ রাজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা আজ তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী। মো. আলী জানান, রাজনকে আটকের পর তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে রোববার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি দেওয়ার জন্য শিশুটিকে জেলা জজ আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে নোয়াখালীর জেনারেল হাসাপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সুস্থ হলেই তাকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।

ad

পাঠকের মতামত