286678

এক হাতে টাকা, অন্য হাতে মুরগীর বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে: মানবতার জন্য পুরষ্কৃত হল শিশুটি

ডেস্ক রিপোর্ট।। নেট-দুনিয়ায় তোলপাড় হয়েছে একরত্তি মিজো বালকের ছবি। নিজের সাইকেলের চাকায় পিষ্ট মুরগিছানাকে বাঁচাতে চেষ্টার কসুর করেনি সে। একহাতে মুরগিছানা, অন্যহাতে একটি ১০ টাকার নোট নিয়ে সোজা গিয়ে হাজির হয়েছিল হাসপাতালে। যদিও মুরগির বাচ্চাটি ততক্ষণে মারা গিয়েছে। মুরগিছানাকে বাঁচানোর আবেদন নিয়ে এক অবোধ বালকের মায়াভরা সেই মুখের ছবি সকলেরই মন কেড়ে নিয়েছে। অবশেষে তার নাম প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, তার নাম ডেরেক সি লালছানহিমা। বছর-সাতেকের ডেরেক স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ে। তার মহাকীর্তির খোঁজ পেয়ে তাকে পুরস্কৃত করতে দেরি করেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মিজোরামের সাইরং এলাকার বাসিন্দা ডেরেককে রীতিমতো পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে একটি শংসাপত্রও। স্কুলের তরফে এই সমাদরে ছোট্ট ডেরেক বেজায় খুশি হলেও মুরগির বাচ্চাটিকে বাঁচাতে না পারার আফসোস যাচ্ছে না তার। মুরগিছানার কথা উঠতেই তার মুখের হাসি উধাও হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকরা দেশজুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসা ছাত্রের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাকে আশীর্বাদ করে বলেছেন, ডেরেক জানেই না কী কাণ্ড করে বসেছে। ও যেন অনেক বড় মানুষ হতে পারে। আর ওর স্বাভাবিক সরলতা যেন কোনও দিন নষ্ট না হয়।

সাইকেল চালাতে গিয়ে অসাবধানতায় মুরগির বাচ্চাটিকে চাপা দিয়ে ফেলে ডেরেক। সাইকেল থামিয়ে জখম মুরগিছানাটিকে উদ্ধার করে প্রথমে যায় নিজের বাড়িতে। পরিবারের লোকজনের কাছে অনুরোধ করে মুরগির বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা দেখেই বুঝতে পারেন মুরগির বাচ্চাটি জীবিত নেই। সে কথা তারা ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু কিছুতেই তা মানতে চায়নি খুদে ডেরেক। তার পর মুরগিছানা নিয়ে সটান চলে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। মুরগির বাচ্চাটিকে বাঁচানোর আবেদন জানায়। বিনিময়ে তার কাছে থাকা দশটাকার নোটও দিতে চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। কর্তব্যরত জনৈক নার্স তাকে স্নেহভরে কাছে ডেকে বোঝান। ডেরেকের একটি ছবিও তুলে রাখেন ওই নার্স। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ‘Sanga Says’ প্রোফাইলের একজন ব্যক্তি। বাকিটা ইতিহাস।

ad

পাঠকের মতামত