276629

যে দোয়া পড়বেন ঈমানি মৃত্যু লাভে

ইসলাম ডেস্ক।। আল্লাহ যে কাজে সবচেয়ে বেশি খুশি হন তাহলো তাওবাহ। কারণ তাওবার মাধ্যমে মানুষ এমন কিছু জিনিস লাভ করে যা অন্য কোনো আমলে সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা সে বর্ণনা করেছেন। যা হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন। একবার ৩ জন লোক হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসলেন। তাদের একজন তার কাছে অনাবৃষ্টির অভিযোগ করে বলেন যে, দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। তিনি বললেন, ‘বেশি বেশি তাওবাহ করো।

অন্যজন বললো, ‘আমার কোনো সন্তান নেই; আমি সন্তানের আগ্রহী। তাকেও তিনি উত্তরে বললেন, ‘বেশি বেশি তাওবাহ করো।

তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ করল যে, এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। কোনো ফসল উৎপন্ন হচ্ছে না। যে ফসল উৎপন্ন হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাকেও তিনি বললেন, ‘বেশি বেশি তাওবাহ করো।

তার সামনে বসা উপস্থিত লোকজন আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুলের নাতি! তিনজনে ৩ ধরনের সমস্যা নিয়ে এসেছে; অথচ আপনি সবাইকে একই উত্তর দিয়ে বেশি বেশি তাওবাহ পড়তে বললেন। এবার হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আপনারা কি আল্লাহর বাণী পড়েননি? আল্লাহ তাআলা নিজেই তো এসব কথা ঘোষণা করেছেন-

‘স্বীয় প্রভুর কাছে তাওবাহ করো। নিঃসন্দেহে তিনি তাওবাহ কবুলকারী, তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন; তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন আর নদ-নদী প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)

সুতরাং বৃষ্টি বা সম্পদই নয় বরং যদি সন্তান-সন্ততিও প্রয়োজন হয়; তবে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে ফিরে আসুন। আল্লাহ তাআলা তার সম্পদের ভাণ্ডার তাওবাহকারী বান্দার জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। এটা মহান আল্লাহ তাআলার ওয়াদা। যা তিনি সুরা নুহের ১০-১২নং আয়াতে ঘোষণা করেছেন।

উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চির প্রতিষ্ঠিত এবং তার কাছে তাওবা করি।’

ad

পাঠকের মতামত