এবার বেলুচিস্তানের সোনার খনির দখল নিচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত একটি কপার এবং স্বর্ণের খনি পরিচালনার কাজে নিজেদের যুক্ত করতে চায় দেশটির সেনাবাহিনী। ‘রেকো ডিক’ নামে পরিচিত এই খনিতে বিশ্বের অন্যতম বড় সোনা এবং কপারের মজুদ রয়েছে।দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স সেনাবাহিনীর আগ্রহের কথা জানিয়েছে। ওই খনিতে প্রায় ৫৯০ কোটি টন কপার এবং ৪ কোটি ১৫ লাখ আউন্স স্বর্ণের প্রমাণিত মজুদ রয়েছে। বর্তমান বাজারে যার মূল্য প্রায় ২৭ হাজার কোটি ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২২ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। রয়টার্স, এমএসএন নিউজ, ইয়ন
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশটির স্বাধীনতার পর থেকেই কখনো পর্দার আড়ালে কখনোবা প্রকাশ্যে দেশটির সরকার পরিচালনায় প্রভাব রাখে। ইতোপূর্বে রেকো ডিক খনির পরিচালনা এবং উত্তোলন নিয়ে কয়েকটি বিদেশী কো¤পানি নিজেদের মধ্যে এক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। তাই খনিটি থেকে এখনো উৎপাদন শুরু করা যায়নি।সেনাবাহিনী বিদ্যমান অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতেই এই প্রকল্পের পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইছে। সরকারি সূত্রগুলো এমন দাবী করে। দেশটির দশজন বর্তমান এবং সাবেক প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওই কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানায়, বেলুচিস্তননের স্বর্ণের খনিটিকে সেনাবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কৌশলগত স¤পদ হিসেবে বিবেচনা করে। খনিটির মূল পরিচালক কে হবে তা নিয়েই একাধিক বিদেশী কো¤পানি আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।তাই সংকট নিরসনে এখানে সেনাবাহিনী আরো বড় ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করে। খনি এলাকার নিরাপত্তার পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবেও খনি পরিচালনাকারী যেকোন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে আগ্রহী পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
আইনি লড়াইয়ে সেনাবাহিনী কোন হস্তক্ষেপ করতে না পারলেও সেনাবাহিনী একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট এই খনি পরিচালনাকারী কো¤পানির সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। এই নিয়ে তারা আইনি লড়াইয়ে জরিত সকল পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে। এই বিষয়ে বেলুচিস্তান প্রদেশের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা জানান, রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত সেনাসদর দফতর থেকেই এই সকল যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী খনি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই খনির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে চায়। কারণ ইরান সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশে সেনাবাহিনীকে প্রায়শই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা থেকে সরকারি এবং বানিজ্যিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়।