274977

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সমানে সমান!

স্পোর্টস ডেস্ক: টানা দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। উইকেট আর্দ্রতায় ভরপুর, সবুজ ঘাসে ঢাকা। উপরন্ত বাড়তি পেস-বাউন্সার পাচ্ছেন পেসাররা। মনের মতো সুইংও হচ্ছে। সব মিলিয়ে পেসারদের আদর্শ উইকেট। একে কাজে লাগিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ২১১ রানে অলআউট করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের শুরুটাও শুভ হয়নি। দলীয় ৮ রানেই ফিরে যান টম লাথাম ও জিত রাভাল। দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে স্বাগতিকদের ধাক্কা দেন আবু জায়েদ রাহী। রস টেইলরকে নিয়ে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে লড়ছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুই কিউই ব্যাটং স্তম্ভ যথাক্রমে ১৯ ও ১০ রান করে নিয়ে ব্যাট করছেন। দলীয় স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ ৩৮/২।

এ অবস্থায় বৃষ্টি নামে। পরে আর খেলা গড়ায়নি। শেষ বিকালে মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। পরিস্থিতি বিবেচনায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তারা। ফলে দিন শেষে কোন দল এগিয়ে তা নির্ণয় করা কঠিন। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সমানে সমান।

ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। অবশেষে তৃতীয় দিন শুরু হয়েছে ব্যাট-বলের লড়াই। আধ ঘণ্টা আগে শুরু হয় খেলা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দারুণ শুরু করেন তামিম-সাদমান। সবুজাভ উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন হবে। তবে প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ে শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দেন তারা। চোখধাঁধানো ড্রাইভ, কাট-পুলের পসরা সাজান তামিম। তাকে যথার্থ সঙ্গ দেন সাদমান। তাতেই শুভসূচনা পায় টাইগাররা। তবে হঠাৎই খেই হারান সাদমান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হন তিনি।

সাদমানের বিদায়ে ভাঙে ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি। এ নিয়ে তামিমের সঙ্গে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়লেন তিনি। পরে মুমিনুল হককে নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেন তামিম। দারুণ সঙ্গও পাচ্ছিলেন। তবে শর্ট বলে শট খেলার লোভ সামলাতে পারেননি মুমিনুল। সবে জুটি গড়ে উঠেছে ওই অবস্থায় নিল ওয়েগনারের শর্ট বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে অসেন তিনি। টেস্ট স্পেশালিস্টের উইলো থেকে এসেছে মাত্র ১৫ রান। এতে ভাঙে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। এরপরই পথ হারায় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।

এর রেশ না কাটতেই অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। টপঅর্ডারদের সাজঘরের রাস্তা ধরার মাঝেও আশার আলো হয়ে ছিলেন তামিম। বুক চিতিয়ে লড়ছিলেন তিনি। এবার হার মানেন তিনিও। ওয়েগনারের বলে টিম সাউদিকে ক্যাচ তুলে দেন ড্যাশিং ওপেনার। ফেরার আগে ১০ চারে ১০৯ বলে করেন বীরোচিত ৭২ রান। এ নিয়ে টানা তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেন দেশসেরা ওপেনার। রয়েছে একটি নান্দনিক সেঞ্চুরি।

মাঝপথে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি গেল টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার। ম্যাট হেনরির বলে সেই ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে বল জমা দেন তিনি। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লড়তে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনিও শর্ট বলের শিকার। শিকারী সেই ওয়েগনার। তার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন লিটন দাস। তবে তাকে যোগ্য সমর্থন দিতে পারেননি কেউ। অবশ্য একটু চেষ্টা করেন তাইজুল ইসলাম। তবে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তার প্রচেষ্টা ধূলিসাৎ করে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। পরক্ষণেই মোস্তাফিজুর রহমানকে সোজা বোল্ড করে ফেরত পাঠান তিনি।

খানিক পরে লিটনের লড়াইও থামে। তাকে ফিনিশ করেন টিম সাউদি। টাইগার শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন বিধ্বংসী বোল্ট। আবু জায়েদকে সোজা বোল্ড করে ফেরান তিনি। বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়েগানার। তিনি শিকার বানিয়েছেন ৪ ব্যাটসম্যানকে। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিয়েছেন বোল্ট।

ad

পাঠকের মতামত