254304

কি হবে যদি আপনি কফিনে জীবন্ত অবস্তায় আটকে পরেন ? দেখুন (ভিডিওতে)

কি হবে যদি আপনি কফিনে জীবন্ত অবস্তায় আটকে পরেন ? দেখুন (ভিডিওতে)

অন্যরা যা পড়ছে,,,,ভালোবেসে নিঃস্ব গার্মেন্টসকর্মী নুপুর!- একজন নিলুফা ইয়াসমিন নুপুর, পেশায় গার্মেন্টস কর্মী। নতুন এক অফিসে চাকুরি নেন তিনি। পরিচয় হয় অফিসের এক সহকর্মীর সাথে নাম তার আতিক। এক পর্যায়ে তারা দু’জনে রসালো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভালোবাসা অতপর বিয়ের ফাঁদ সর্বশেষ ধোঁকা দিয়ে চলে যান বিয়ের কথা বলে টাকা আত্মসাৎকারী পাষান আতিক।

নিলুফা ইয়াসমিন নুপুর, বাড়ি মানিকগঞ্জ। তারা দু’বোন এক ভাই। সে গার্মেন্টস এ কাজ করে। আমি প্রথমে ঢাকায় এসে একটা গার্মেন্টসে চাকুরি করি, সেখানে একটা মেয়ের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ করে আমার নতুন আরেকটা অফিসে চাকুরি হয়। এর ঠিক এক মাস পর। আমি অফিস থেকে বাসায় এসে পৌঁছাতেই আগের অফিসের ওই মেয়েটা ফোন দেয়। তার সাথে ভাল-মন্দ কথা বলতেই সে আমাকে বলে আমি নতুন একটা ফ্যাক্টরিতে চাকুরি নিছি সেখানে আমার অনেক টাকা বেতন ধরেছে। অফিস টাও ভাল কাজের তেমন চাপ নেই। তুমি সামনে একদিন আমার এখানে আসো দেখ যদি ভালো লাগতেও পারে। যদি তাহলে আমি আমার বসের সাথে কথা বলে রাখিব। দেখো আমার মনে হয়, ভাল লাগবে দেইখো।

আমি হঠাৎ করেই বান্ধবিকে ফোন দিয়ে তার অফিসে গেলাম, অফিসে জিএম স্যারের সামনে আমাকে নিয়ে গেল ওনাকে সালাম দিলাম। এরপর স্যার আমাদের অফিসের ফ্লোর ঘুরে দেখাল এর পর ওনার চেম্বারে ডাকল, সেখানে ওনি আমার নাম, কাগজপত্র, লেখাপড়া এবং কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি ওনারে এসব বলি। ঠিক ওই সময় জিএম স্যারের রুমে ২জন ছিলে আসলো, একজনের নাম আতিক অন্যজন ছিল পলাশ। আমাদের উঠার সময় হলে স্যার আমারে জিজ্ঞেস করে নুপুর তোমার কি এই অফিস ভাল লাগছে? যদি লাগে তাহলে কাল থেকে কাজে জয়েন্ট কর। আমি উত্তরে বলি হ্যাঁ। তখন আমাকে বলল তোমার প্রতিমাসে বেতন দেওয়া হবে ৭ হাজার সাত শত টাকা বুঝেছো।

নিলুফা ইয়াসমিন নুপুর বলেন, আমি অফিসে কাজে যোগ দেই সুইং অপারেটর হিসেবে। এরপর দুপুরের পর আমার টেবিলের সামনে একটা ছেলে আসে। ওই দু’জনের একজন নাম তার আতিক। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করে, তোমার নাম কি? আমি নাম নুপুর, আমরা এখানে স্থানীয় বাসিন্দা। ওনারে জিজ্ঞেস করি আপনার নাম কি? তিনি বলেন, আমি তুহিন এখানে তোমার মতোই কাজ অন্য ফ্লোরে। বাড়ি রাজশাহীতে। আমি যখন ওনার সাথে পরিচিত হই, এরপর ওনি আমার সাথে প্রতিদিনই দেখা করেন কথা বলেন।

এভাবে প্রতিদিন যোগাযোগ হয় অফিসে দেখা হতো। হঠাৎ একদিন অফিসে এসেই আমার কাছে চলে আসে। আমার নম্বার চায় এরপর আমি বললাম কি করবেন? ওনি বললেন, প্রতিদিন আমাদের দেখা হয়, তাই কাছে নম্বার না থাকলে কেমন ব্যাপারটা। এরপর নম্বার দেই, রাতে আমারে ফোন দেন আতিক। কিন্তু রাতে আমাকে ফোন দিলে আমি অপরিচিত নম্বার ধরি না। পরের দিন অফিসে এসেই বলে, কি খবর ফোন দিলাম রিসিভ করলে না যে?

আমি আপনার নম্বারটা চিনতে পারিনি তাই রিসিভ করা হয়নি। আজকে ফোন দিয়েন তাহলে… রাতে ফোন দিলেন এভাবে ধারাবাহিক কথা চলতে থাকে বেশ কিছুদিন। হঠাৎ একদিন রাত ১২টার দিকে ফোন দিলেন। আমি ওনাকে বলি এতো রাতে ফোন দিছেন কেন? তখন আতিক বলেন, আপানাকে একটা কথা বলার ছিল? শুনলে ফোন কাটবে না তো? আসলে কিভাবে তোমারে বলি, তোমাকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। তখন আমি বললাম আপনি আমারে চিনেন, আামার বিয়ে হয়েছে কিনা? আমার বাচ্ছা-কাচ্ছা আছে কিনা? এরপর ওনি বললেন, তোমার আগে যা হইছে আমার কাছে এখন তুমি নতুন। এরপর আমি বাসায় বিষয়টা আমার বড় ভাই ভাবিকে জানালাম।

আমার পরিবার তার সম্পর্কে জেনে কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিলো না। এরপরও একদিন অফিস থেকে আমরা একসঙ্গে বাহির হই বাসায় একসাথে যাই। এভাবে যেতে একদিন সে আমার বাসায় আসতে চায়। ভাবি-ভাইকে নিয়ে আলোচনা করে অনুমতি পাই। এরপর ওনি আমার বাড়িতে চলে আসে বাসায় ওনারে সামনা-সামনি দেখে ওনার সম্পর্কে প্রথমে রাজি না থাকলেও সে পরে অনেক কৌশলে রাজি করাই।

আমাদের কথা দেখা রিতিমতো ভালই চলতো। ওকে অল্প সময়ে আমি অনেক ভালবেসে ফেলি। এরপর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সে ফোন দিয়ে বলে আমার কিছু টাকা লাগবে দিতে পারবা আমি সময় মতো তোমারে আবার দিয়ে দিতাম। তখন আমি বলি যে আমাদের তো এখনো বিয়ে হয়নি আর আমি তোমাক কোথা থেকে টাকা দিব? সে আমারে বলল, দেখ হয়নি হবে তো তাই না? আর আমি একটা কাজে লাগাবো টাকা আমাদের ভবিষ্যতে অনেক ভাল হবে।এরপর আমার নামে আমার মা ব্যাংকে টাকা জমা রাখছিলেন সেখানে ৫০ হাজার তুলে তাকে দিয়ে দেই। টাকা দেওয়ার ঠিক কয়েকদিন পরই সে ফোনে কথা বলতে বলতেই ধমক দিয়ে বলল, আমাকে আর ফোন দিও না, এত বার বার ফোন দিয়ে আমারে জ্বালাও কেন?

আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি এবং আমার ভাবিকে দিয়ে ফোন দেওয়াই তখন সে বলল, আমি ঝাড়ি দেইনি। অফিসে কাজের চাপ বসে আমায় বকা দিছিলো।আবার সে আমার সাথে কথা বলা শুরু করল, আমিও কথা বলি একদিন সে আমাকে তার বাসায় নিয়ে গেল যে বাড়িতে সে থাকে। সেখানে গেলাম এরপর রুমে ঢুকেই সে আমার গায়ে হাত দেয় একপর্যায়ে আমি বাধাঁ দিলে সে বলে বিয়ে তো আমরা করবই। আর আমি তোমাকে বিয়ে করব তাহলে এমন করছো কেন?

এভাবে অনেক কথা বলে আমাকে সেদিন সে ভক্ষণ করে। দিন যায় সপ্তাহ যায়, মাসও গেল এর পর আমার পেটে বাচ্ছা আসে আমি সেই বাচ্ছাটা নষ্ট করি। ওকে অনেক অনুরোধ করি আমাকে কবে বিয়ে করবে, কবে তোমাদের বাসায় নিয়ে যাবে আর কবেই আমি সংসার শুরু করব। এভাবে চলতে থাকে কিন্তু আমার কথার কোনো গুরুত্ব সে দেয় না।আমি অফিসে গিয়ে তারে অনেক খুঁজি কিন্তু তারে পাইনা তার বন্ধুরে বলি, সে বলে আতিক বাসায় গেছে। আমি আতিকরে ফোন দিলে প্রথমে সে মোবাইল ধরে না। রাতে ও আমারে ফোন দিয়ে বলে, আমি তো গ্রামেরে বাড়িতে আসছিলাম আজকে রাতে ঢাকায় যামু কিন্তু আমাকে ৫ হাজার টাকা দেও। আমি ঢাকায় গিয়ে দিয়ে দেব।

নুপুর-আমি তাকে বিকাশে ৫ হাজার টাকা দেই, এরপর আর ফোন দেইনি। সকালে যখন ফোন দেই আপনি কই উনি বললেন, আমি ঢাকায় যাইনি। আর যাব না বাড়িতে অনেক কাজ। আর হ্যাঁ আমার সামনে সপ্তাহে বিয়ে দাওয়াত রইল আসিও। পরে আমি ওনার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে শুনতে পাই ওর বাড়ি রংপুরে। সূত্র: বিডি২৪লাইভ

ad

পাঠকের মতামত