240041

সমানভাবে সবাই অংশ নিতে না পারলে নির্বাচনের পদ্ধতি কার্যকর হবে না: মিলার

নিউজ ডেস্ক।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বলেছেন, সকল দলের উচিৎ হবে বায়োলেন্সকে পরিহার করে এর নিন্দা জানানো। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, নির্বাচনের পদ্ধতি কার্যকর হবে না, যদি সবাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে। মঙ্গলবার দুপুরের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকর প্রশ্নের জবাবে মিলার এ কথা বলেন। মিলার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করতে হবে এবং সহিংসতাকে নিন্দা জানাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হোক।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করব গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমরা আহ্বান জানাই সবাইকে মুক্তভাবে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারে নেমে যাওয়ার জন্য। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।’ তিনি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে যেসব রিপোর্ট দেখেছি তাতে আমি সকলকে আহ্বান করবো গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ করার জন্য। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির একজন নেতা বলেন, তাঁরা কারাবন্দী দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া ধানের শীষের প্রার্থীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বরার্ট আর্ল মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বরার্ট আর্ল মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক।

বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তিনি নতুন এসেছেন, আজকে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছেন। বর্তমান নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আপনারা নিজেরা শুনেছেন, তাঁরা এখানে ভয়ভীতি ও ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দেখতে চান, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। এটাই হচ্ছে তাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া উচিত। কোনো প্রার্থীর ওপর যাতে কোনো আক্রমণ না হয়, সহিংসতা যেন না হয়—এক কথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। বিরোধী দল যারা আছে, তাদের প্রচারণাও যাতে নিরাপদে করতে পারে, তা নিশ্চিত করা উচিত। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত। তাঁকে কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। বেলা ২টায় বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত