235995

জাপার নিশ্চিত আসন যেগুলো

মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা অনেকটাই চূড়ান্ত হয়েছে। আর ২০০৮ সালের মতোই বেশি ছাড় দেওয়া হচ্ছে জাতীয় পার্টিকে। পুরনো শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টিকে পাঁচটি, জাসদের দুই অংশকে পাঁচটি, তরীকত ফেডারেশনকে দুটি, জেপিকে একটি করে আসন দেওয়া হচ্ছে।আর ধর্মভিত্তিক দুই দল ইসলামিক ফ্রন্ট এবং জাকের পার্টিকে একটি করে আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে তা ঝুলে গেছে।হঠাৎ করেই জোটে আসা যুক্তফ্রন্টকে চারটি আসন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আরো তিনটি আসন দেওয়া হবে কি না, এ নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

রংপুর বিভাগ: এদিকে জাতীয় পার্টিকে মহাজোট সবচেয়ে বেশি আসন ছাড় দিয়েছে রংপুর বিভাগে নয়টি। আসনগুলো হলো- রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, নীলফামারী-৩ কাজী ফারুক কাদের, নীলফামারী-৪ শওকত চৌধুরী অথবা আহসান আদেলুর রহমান আদেল, কুড়িগ্রাম-১ আক্কাস আলী, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৪ আসাফউদ্দৌলা তাজ, লালমনিরহাট-৩ জি এম কাদের এবং গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারী।তবে এই বিভাগে আরো সাতটি আসন দাবি করছে জাতীয় পার্টি। এগুলো হলো- দিনাজপুর-৬, রংপুর-২, ৪, ৫, গাইবান্ধা ৩ ও ৫ এবং কুড়িগ্রাম-৩। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম-৩ আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন এম এ মতিন। এখানে লাঙ্গল নিয়ে দাঁড়াতে চাইছেন আক্কাস আলী সরকার।

রাজশাহী বিভাগ:রাজশাহী বিভাগের মধ্যে কেবল বগুড়ায় ছাড় পাচ্ছে জাতীয় পার্টি। এই জেলার সাতটি আসনের মধ্যে চারটিতেই থাকছে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী। আসনগুলো হলো- বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর ও বগুড়া-৭ আলতাফ আলী।এর বাইরে রাজশাহী-৫ এবং নাটোর-১ আসনে ছাড় দাবি করছে জাতীয় পার্টি। ঢাকা বিভাগ: ঢাকা বিভাগে পাঁচটি আসন নিশ্চিত হয়েছে জাতীয় পার্টির। এর মধ্যে রাজধানীর দুটি। আসনগুলো হলো- ঢাকা-৪ সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ এ কে এম সেলিম ওসমান এবং কিশোরগঞ্জ-৩ মুজিবুল হক চুন্নু।ঢাকা-১৭ আসনটি দলীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য ছাড় নিশ্চিত করতে চেষ্টা চলছে। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে।

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল বিভাগে দুটি আসন নিশ্চিত হয়েছে। এগুলো হলো- বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না এবং পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী। বরিশাল-২ আসনে চিত্রনায়ক সোহেল রানা যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনি পাবেন মনোনয়ন। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বৈধ হলে তিনি পটুয়াখালী-১ আসনও পাবেন।ময়মনসিংহ বিভাগ: ময়মনসিংহ বিভাগে গতবার পাঁচটি আসনে ছাড় দেওয়া হলেও এবার দেওয়া হয়েছে দুটি। এগুলো হলো- ময়মনসিংহ-৪ বেগম রওশন এরশাদ ও ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম।এর বাইরে ময়মনসিংহ-৫ এবং ৭ আসন দাবি করছে জাতীয় পার্টি। তবে এগুলো পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

সিলেট বিভাগ: আসন কমেছে সিলেট বিভাগেও। গতবার তিনটি আসন পেলেও এবার দেওয়া হচ্ছে দুটি। এগুলো হলো- সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মেসবাহ। এই বিভাগে হবিগঞ্জ-১ আসনটিও চাইছে জাতীয় পার্টি।চট্টগ্রাম বিভাগ: আসন কমেছে চট্টগ্রাম বিভাগেও। এই বিভাগে বর্তমানে জাতীয় পার্টির সাতজন সংসদ সদস্য থাকলেও এবার ছাড় পেয়েছেন চারজন। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-২ এম এ নোমান, ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।তবে আরও দুটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো হলো- কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন এবং চট্টগ্রাম-১৬ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। কুমিল্লা-২ আসনটিও দাবি করছে দলটি।

খুলনা বিভাগ: খুলনা বিভাগে জাতীয় পার্টিকে কোনো আসনে ছাড় দেওয়া হয়নি। যদিও তারা খুলনা-১ ও সাতক্ষীরা-২ আসন দাবি করছে।এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমরা আশা করি আমাদের ৫০টি আসন দেওয়া হবে।আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, কিছু আসন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আসন নিয়ে সমঝোতা না হওয়াই এর কারণ। ২০০৮ সালেও বেশ কিছু আসনে দুই দলেরই প্রার্থী ছিল।

ad

পাঠকের মতামত